দেশজুড়ে

মহাসড়কে বাড়ছে পরিবহনের চাপ, স্থানে স্থানে যানজট

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সোমবার সরকারি অফিস, ব্যাংক ও গার্মেন্টস কারখানা খোলা থাকায় দুপুরের পর থেকে লোকজন নাড়ির টানে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়েছে। ফলে মহাসড়কে প্রতিনিয়ত পরিবহনের চাপ বাড়ছে।

Advertisement

সরেজমিনে সাভারের হেমায়েতপুর, ফুলবাড়িয়া, সাভার, নবীনগর ও বাইপাইল এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকেই ঘরমুখো মানুষ নিজেদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে কাঙ্ক্ষিত পরিবহন না পাওয়ায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে তাদের।

এসময় ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের নিয়েও অনেককে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। অনেকে আবার পণ্যবাহী ট্রাকে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হচ্ছেন।

এদিকে এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে লোকাল বাসগুলোও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাত্রী পরিবহন শুরু করেছে। তবে এসব পরিবহনে ক্ষেত্রবিশেষে দুই থেকে তিন গুণ ভাড়া নেয়া হচ্ছে। সাভার ও হেমায়েতপুর থেকে পাটুরিয়া পর্যন্ত যেতেই ৩-৪শ টাকা ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এরপরও গাড়িতে বেঞ্চ ও চেয়ার বসিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে।

Advertisement

এছাড়া প্রতিটি বাসস্ট্যান্ডে পরিবহন এবং রিজার্ভ গাড়িগুলো রাস্তার মধ্যে দাঁড় করিয়ে যাত্রী ওঠানোর কারণে স্থানে স্থানে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

সড়কে নিরাপত্তার দায়িত্বে কর্তব্যরত সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রেজা বলেন, ঘরমুখো মানুষের বাড়িতে যেতে যেন কোনো দুর্ভোগ পোহাতে না হয় সেজন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আমরা সার্বক্ষণিক সড়কে রয়েছি। এখন পর্যন্ত ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে কোনো যানজট সৃষ্টি না হলেও সন্ধ্যার পর রাস্তায় গাড়ির চাপ আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

এর আগে শনিবার দুপুরে ঢাকা-আরিচা, মানিকগঞ্জ-পাটুরিয়া ও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক পরিদর্শন শেষে সাভারের নবীনগরের জয় রেস্তোরাঁয় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান বলেন, এবারের ঈদযাত্রায় প্রথমবারের মতো টার্মিনাল ও বাসস্ট্যান্ডগুলোতে গাড়ির ফিটনেস পরীক্ষা-নিরীক্ষার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ফিটনেস পরীক্ষার পরই বাসগুলোকে যাত্রী পরিবহনের অনুমতি দেয়া হচ্ছে। ফিটনেস পরীক্ষা ছাড়া কোনো বাস যেন টার্মিনাল ছেড়ে না যায় সেজন্য সংশ্লিষ্টদের কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এসব উদ্যোগের কারণে এবারের ঈদযাত্রা যানজটমুক্ত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

Advertisement

আল-মামুন/এমবিআর/পিআর