খেলাধুলা

স্মরণীয় জয়ের ম্যাচে বাংলাদেশের যত রেকর্ড

রোববার কেনিংটন ওভালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২১ রানে হারিয়ে বিশ্বকাপের শুভ সূচনা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ম্যাচে ব্যাট হাতে উজ্জ্বল ছিলেন সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহীমরা। পরে বল হাতে বাজিমাত করেন মোস্তাফিজ, সাইফউদ্দিন, সাকিবরা।

Advertisement

নিজের চতুর্থ বিশ্বকাপে খেলতে এসে প্রথমবারের মতো ম্যাচসেরার পুরষ্কার জিতেছেন সাকিব, গড়েছেন একাধিক রেকর্ড। তার সঙ্গে নানান রেকর্ড গড়েছে পুরো দলও।

একনজরে দেখে নেওয়া যাক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচে বাংলাদেশের সব রেকর্ড:

২- বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বাংলাদেশের জয়ের সংখ্যা এখন ২, এর আগেও বিশ্বকাপে প্রোটিয়াদের হারিয়েছিলো টাইগাররা। ২০০৭ সালে তাদের বিপক্ষে বিশ্বকাপে প্রথম জয় পায় বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে এশিয়ান দলগুলোর মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সর্বোচ্চ জয়ের রেকর্ডও নিজেদের দখলে নিয়েছে বাংলাদেশ।

Advertisement

৩৩০- বাংলাদেশের ওয়ানডে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ এখন ৩৩০ রান। এর আগে ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে টাইগারদের করা ৩২৯ রান ছিলো সর্বোচ্চ রানের সংগ্রহ। বিশ্বকাপে মাত্র দুইবার ৩০০ এর বেশি রান করতে পেরেছিলো বাংলাদেশ। আগেরবার ২০১৫ বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৩২২ রান করেছিলো টাইগাররা। কোনো টেস্ট প্লেয়িং নেশনের বিরুদ্ধে এটাই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম তিনশ পেরোনো ইনিংস।

২৭৮- দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এতদিন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংগ্রহ ছিলো ২৭৮ রান। গতকাল (রবিবার) বাংলাদেশ তাদের বিপক্ষে করেছে তার চেয়ে ৫২ রান বেশি।

১৪২-দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান ছিলো সাকিব- মুশফিকের জুটির। দুজনের ১৪২ রানের জুটির উপর ভর করে ৩৩০ রানের বড় সংগ্রহ পায় টাইগাররা। সাকিব- মুশফিকের এই জুটি যেকোনো উইকেটে বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রানের জুটি।

৬৬- ২০০৩ বিশ্বকাপের পর থেকে বিশ্বকাপে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মিসটাইমিংয়ে সর্বোচ্চ ৬৬ রান এসেছে এই ম্যাচে। যেখানে সাকিব ২১, সৌম্য সরকার ১৩ ও মুশফিক ১২ রান পান মিসটাইমিংয়ে।

Advertisement

এই ম্যাচে সাকিবের রেকর্ড আছে আরো। দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান এডিন মার্করামকে আউট করার মাধ্যমে ওয়ানডেতে ২৫০ উইকেটের মালিক হন সাকিব। সঙ্গে গড়েন নতুন আরো এক রেকর্ড। ইতিহাসের সবচেয়ে দ্রুততম ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডেতে একই সঙ্গে ২৫০ উইকেট ও ৫ হাজার রান করা ক্রিকেটার এখন সাকিব।

এমএইচবি/এসএএস/জেআইএম