দেশজুড়ে

এবার ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের ভিন্ন চিত্র

ঈদযাত্রার চতুর্থ দিন আজ। অন্যান্য বছর ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানজট, যান চলাচল বন্ধসহ নানা ভোগান্তির চিত্র দেখা গেলেও এবারের ঈদযাত্রা স্বস্তির। সোমবার ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যান চলাচল বৃদ্ধি পেলেও কোনো যানজট নেই। স্বাভাবিক গতিতেই চলছে যানবাহন। কোনো দুর্ঘটনার খবরও পাওয়া যায়নি। এছাড়াও যাত্রীদের ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে পাঁচটি সেক্টরে ভাগ হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন জেলা পুলিশের সহস্রাধিক পুলিশ সদস্য।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঈদে ঘরমুখো মানুষ ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক হয়ে ফিরতে শুরু করায় যানবাহনের চাপ বেড়েছে। গতকাল রোববার রাত ১২টা থেকে সোমবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় এই মহাসড়ক ও বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ২৪ হাজার ৫৬৭টি যানবাহন চলাচল করেছে। এর মধ্যে ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী যানবাহনের সংখ্যা ছিল ১৩ হাজার ১৩০ আর উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকাগামী যানবাহন সংখ্যা ছিল ১১ হাজার ৪৩৭টি। এ যান চলাচলে সেতুর টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৯৮ লাখ ৪৪ হাজার ৯৬০ টাকা। তবে এর আগে গত শনিবার রাত ১২টা থেকে রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই মহাসড়ক ও বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ২১ হাজার ৯৮১টি যানবাহন চলাচল করেছে। এর মধ্যে ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী যানবাহনের সংখ্যা ছিল ১১ হাজার ৮৭৭ আর উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকাগামী যানবাহনের সংখ্যা ছিল ১০ হাজার ১০৪টি। এ যান চলাচলে সেতুর টোল আদায় হয় ১ কোটি ৯৪ লাখ ৪৮ হাজার ৩২০ টাকা।

এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন জানান, মহাসড়কে যানবাহনের চাপ অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে কোথাও কোনো সড়ক দুর্ঘটনা ও যানজটের সৃষ্টি হয়নি। যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। মহাসড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক ও ঈদে ঘরমুখো মানুষের বাড়ি ফেরা নিশ্চিত করতে জেলা পুলিশের প্রায় সহস্রাধিক সদস্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। পাশাপাশি আনসার সদস্যরাও পুলিশ বাহিনীকে সহায়তা করছেন।

উল্লেখ, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক দিয়ে উত্তরবঙ্গ ও বৃহত্তর ময়মনসিংহের ২৬টি জেলার অন্তত ৯০টি সড়কের যানবাহন চলাচল করে। এই মহাসড়ক দিয়ে যান চলাচল নির্বিঘ্ন করতে ২০১৩ সালে দুই লেনের এই মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। ২০১৬ সালে প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়। প্রকল্পটি ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে এতে দুটি সার্ভিস লেন, ২৯টি নতুন ব্রিজ, চারটি ফ্লাইওভার ও ১৪টি আন্ডারপাস সংযুক্ত হওয়ায় কাজটি এখনও চলমান রয়েছে।

Advertisement

আরিফ উর রহমান টগর/আরএআর/এমকেএইচ