এতকাল ‘ঈদের’ আগে বাঙ্গালীর বিশ্বকাপ ভাগ্যটা ভাল ছিল না। ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে ঠিক ঈদ উল আজহার আগের রাতে দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে আইসিসির সহযোগী সদস্য দেশ কানাডার কাছে অপ্রত্যাশিত হারে ঈদ আনন্দ মাটি হয়ে গিয়েছিল বাঙালির।
Advertisement
খালেদ মাসুদ পাইলট, হাবিবুল বাশার, খালেদ মাহমুদ সুজন, অলক কাপালি, আল শাহরিয়ার রোকন আর মাশরাফি বিন মর্তুজারা মনের দুঃখে ঈদের নামাজ না পড়ে ডারবান ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন পরের ম্যাচের ভেন্যুতে।
সে স্মৃতি মনে রেখেই হয়তো এবারের বিশ্বকাপ খেলতে গিয়ে ঈদের কথা মাথায় আনতে চাইছে না বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। তাই তো ঈদের আগে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে দেশবাসীকে ঈদের উপহার দিলেও, নিজেরা ঠিকই ব্যস্ত সময় কাটাবেন মাঠে।
আজ রাতে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করছে কবে হবে লন্ডনের ঈদ। সবার ধারণা আগামীকাল তথা ৪ জুনেই হবে লন্ডনের ঈদ উল ফিতর। আর যদি তাই হয়, তাহলে ঈদের দিনে অনুশীলন করেই সময় কাটবে বাংলাদেশ দলের।
Advertisement
কারণ মঙ্গলবার (৪ জুন) লন্ডন সময় সন্ধ্যা ৬টা, বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা থেকে রাখা হয়েছে টাইগারদের অনুশীলন। মূলত আগামী ৫ জুন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি দিবারাত্রির হওয়ার কারণেই মঙ্গলবার ফ্লাডলাইটের নিচে অনুশীলন করবেন মাশরাফি-সাকিবরা।
তবে তার আগে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোর সুখস্মৃতি নিয়ে আজকের (সোমবার) দিনটি পুরোপুরি বিশ্রামেই কাটাবে টাইগাররা। অনুশীলন তো নেইই, সঙ্গে থাকছে না কোনো মিডিয়া সেশনও। দিনটি পুরোপুরি নিজেদের মতো করেই কাটাবেন জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা।
আর যদি ঈদ হয় ৫ জুন তথা বুধবার, সেক্ষেত্রেও মাঠেই কাটবে টাইগারদের ঈদ। কারণ সেদিন লন্ডন সময় দুপুর দেড়টা থেকে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে খেলতে নামবে বাংলাদেশ। তাই ঈদের কথা ভেবে বাড়তি কোনো চাপ নিতে চান না বাংলাদেশ অধিনায়ক। নিজেদের পুরোপুরি মনোযোগ রাখতে চান মাঠের ভেতরেই।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে প্রশ্ন রাখা হলে টাইগার অধিনায়ক বলেন, ‘এ বছরের ঈদ আমরা মাথায় আনিইনি। আমরা জানি, আমাদের ঈদ এখন খেলার ভেতরে। আমরা উপভোগ করছি খেলা। আমাদের কাজই এখন এটা। টুকটাক অনেকের পরিবার এসেছে। আশা করি, তাদের সঙ্গে সবার ভালো সময় যাবে। এর বেশি কিছু আর নেই। ঈদের চেয়ে এখন আমাদের মূল কাজ হচ্ছে এই কাজগুলো শেষ করা ঠিকমতো।’
Advertisement
এআরবি/এসএএস/এমকেএইচ