খেলাধুলা

প্রোটিয়া রাজ্য জিতে টাইগারদের চোখ এখন কিউই পাখিতে

ম্যাচ শুরুর আগে জিজ্ঞেস করা হলে একশ জনের মধ্যে হয়তো নব্বই জনই বলে দিতেন, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জিততে পারবে না বাংলাদেশ। তবে এমন অনুমান করলে যে নিজের কথা ফেরত নিতে হতো, তা প্রমাণ করে দিয়েছে মাশরাফি বাহিনী।

Advertisement

বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে রীতিমত খাবি খাইয়েই জয় লাভ করেছে বাংলাদেশ। সাকিব-মুশফিকের জোড়া ফিফটিতে নিজেদের ইনিংসে ৩৩০ রানের সংগ্রহ পাওয়া। পরে সাকিব, মিরাজ, মোস্তাফিজদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৩০৯ রানেই থামিয়ে দেয়া হয় প্রোটিয়াদের।

২১ রানের সহজ জয়ে ভাঙা হয় প্রোটিয়া দুর্গ। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার সাম্রাজ্যে হানা দিয়েই তৃপ্তির ঢেঁকুর ফেলতে রাজি নয় টাইগাররা। তাদের চোখ এখন পরবর্তী ম্যাচের দিকে, যেখানে প্রতিপক্ষ কিউই পাখির দল তথা নিউজিল্যান্ড।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়ের পরিতৃপ্তি থাকলেও নিজেদের পরবর্তী করণীয় বিষয়ের প্রতি এখন থেকেই সতর্ক মাশরাফি-সাকিবরা। তাই ম্যাচের পর অধিনায়ক-সহ অধিনায়কের কণ্ঠে ভেসে ওঠে প্রায়ই একই কথা।

Advertisement

ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বলেন, ‘আজকের (রোববার) ম্যাচ শেষ। পরের ম্যাচ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। এখন থেকে নিউজিল্যান্ডের কথাই ভাবতে হবে। আমার মনে হয় ব্যাটসম্যানদের জন্য আরও বড় চ্যালেঞ্জ আসবে সামনে। শুরুতে সৌম্যর দ্যুতিময় শুরুটা দলের জন্য আশার আলো।

তার আগে ম্যাচ পরবর্তী পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রায় একই কথা বলেন সহ অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও। তার মতে প্রোটিয়াদের হারিয়ে আত্মবিশ্বাসের পারদ এখন বেশ ওপরে।

‘এ মুহূর্তে আমাদের আত্মবিশ্বাস সত্যিই অনেক ওপরে। আমাদের পরের ম্যাচ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। সেটাও আমাদের জন্য বড় ম্যাচ। তাড়া শক্তিশালী দল এবং আমাদের বিপক্ষে নিজেদের সেরাটা দিয়েই খেলতে চাইবে। আমি সে ম্যাচের দিকেই তাকিয়ে’- বলেন সাকিব।

আগামী ৫ই জুন একই মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামবে বাংলাদেশ।

Advertisement

এআরবি/এসএএস