স্বপ্নের চেয়ে অধিক চাওয়ার এক জয়। বিশ্বকাপ শুরুর আগে সবার মনেই ছিল একটা জ্বল্পনা, কতদুর যাবে বাংলাদেশ? ত্রিদেশীয় সিরিজে চ্যাম্পিয়ন হয়ে টাইগাররা বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমী মানুষের প্রত্যাশা বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকগুন। সেই প্রত্যাশার চাপে না আবার ভেঙে পড়ে বাংলাদেশ, এই শঙ্কাও কম ছিল না।
Advertisement
বাংলাদেশ দু’একটি ম্যাচ জিততে পারে- এমন প্রত্যাশা তো ছিলই। সে সঙ্গে সেমিতে খেলার স্বপ্নও খেলা করছিল এ দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের হৃদয়ে। সেই স্বপ্ন সম্ভবের প্রথম পদক্ষেপ দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানো। বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে শুরু হলো বাংলাদেশের।
গৌরবময় এই জয়ে দলের সবারই কম বেশি অবদান রয়েছে। টস হেরেও ব্যাট করতে নামার পর উড়ন্ত সূচনাটা এনে দিয়েছিলেন তামিম আর সৌম্য। তামিম ১৬ রান করে আউট হলেও ৬০ রানের দারুণ এক জুটি গড়ে দিয়ে যান তিনি। সৌম্য ঝড়ো ব্যাটিং করে স্কোর বোর্ডে যোগ করেন ৩০ বলে ৪২ রান।
এরপর জুটিটা গড়েন মূলতঃ সাকিব আর মুশফিকুর রহীম। নিজেদের বিশ্বকাপ ইতিহাসে সর্বোচ্চ ১৪২ রানের জুটিটি গড়ার পরই বিচ্ছিন্ন হন দু’জন। ১১৭ মিনিট ক্রিজে থেকে সাকিব আল হাসান খেলেন ৮৪ বল। রান করেন ৭৫টি। ৮টি বাউন্ডারির সঙ্গে ছক্কা মেরেছেন ১টি।
Advertisement
মুশফিক ৮০ বলে ৭৮, মাহমুদউল্লাহর ৩৩ বলে ৪৬ রান কিংবা মোসাদ্দেকের ২০ বলে ২৬ ও মিঠুনের ২১ বলে ২১ রানও বাংলাদেশের জয়ে কম অবদান রাখেনি। বোলাররাও রেখেছেন দারুণ ভূমিকা। মোস্তাফিজের ৩টি, সাইফুদ্দিনের ২ উইকেটও কম অবদান রাখেনি।
তবে ৭৫ রান করার পাশাপাশি বল হাতে দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছেন সাবিক আল হাসান। ১০ ওভারে ৫০ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন তিনি। যে কারণে ম্যাচ শেষে সবার পারফরম্যান্স চাপিয়ে সাকিব আল হাসানকেই সেরার স্বীকৃতি দিলো বিচারকরা। বিশ্বকাপে এই প্রথম ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেলেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।
আইএইচএস/
Advertisement