জেলার চিকিৎসা সেবার উন্নয়নে রাঙামাটি শহরে ১০ শয্যাবিশিষ্ট নতুন একটি হাসপাতাল স্থাপনের পরিকল্পনাটি শেষ পর্যন্ত ভেস্তে গেল। গত দশ বছরে তা বাস্তবায়নে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হয়নি। বর্তমানে এর কোনো খোঁজ খবরও নেই। রাঙামাটি সিভিল সার্জন ডা. স্নেহ কান্তি চাকমা বিষয়টি স্বীকার করে জাগো নিউজকে বলেন, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে পুরাতন হাসপাতালটিকে ১০ শয্যার হাসপাতালে উন্নীত করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু এ পর্যন্ত কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেই। বর্তমানে এটির কোনো খবরও পাওয়া যাচ্ছে না। এটি হওয়ার জন্য অনেক লেখালেখির দরকার। তবে এ নিয়ে আমার যতদূর ধারণা-সেটি আর বাস্তবায়ন হবে না। এ নিয়ে আমরা আশা ছেড়ে দিয়েছি। জানা যায়, জেলায় চিকিৎসা সেবা বাড়াতে ২০০৫ সালের দিকে জেলা সদরে অবস্থিত সরকারি জেনারেল হাসপাতালের পাশাপাশি দশ শয্যার একটি নতুন হাসপাতাল স্থাপনের জন্য বিশেষ পরিকল্পনা নেয় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ। প্রস্তাবটি ছিল শহরতলির পুরাতন হাসপাতালটিকে ১০ শয্যার হাসপাতালে উন্নীত করে সেটিকে নতুন হাসপাতাল হিসেবে চালু করা। এতে জেলার স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবা বাড়ানো সম্ভব। ওই সময়ে বষয়টি রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের বাজেটেও অন্তর্ভূক্ত করা হয়। কিন্তু কী কারণে এ পর্যন্ত তা চালু হতে পারেনি এর সঠিক কোনো খবরও জানে না জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। জেলা পরিষদ সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালের বাজেট ঘোষণাকালে পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নের ঘোষণা দেয় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ। পরে পরিষদের সিদ্ধান্তহীনতার কারণে তা ঝুলে গেছে। এলাকাবাসী মনে করেন, চিকিৎসা সুবিধা বাড়াতে রাঙামাটি পুরাতন হাসপাতালটিকে নতুন হাসপাতালে উন্নীত করে তা সহজেই চালু করা সম্ভব। কারণ সেখানে অবকাঠামোগত সব সুবিধা আছে। সীমিত আকারে চালু করলেও এলাকার মানুষ চিকিৎসা সেবার অনেক সুফল ভোগ করতে পারবেন। এদিকে রাঙামাটি শহরে একটি মাত্র জেনারেল হাসপাতাল। সেখানে শহরের দূরবর্তী লোকজন জরুরি চিকিৎসা পেতে ভোগান্তির শিকার হন। তাই বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে জেলা পরিষদ রাঙামাটির পুরাতন হাসপাতালটিকে নতুন হাসপাতালে উন্নীত করে চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বলে জানা যায়। কিন্ত পরিষদের সিদ্ধান্তহীনতার কারণে সেটি বাস্তবায়িত হয়নি।শহরবাসী জানান, মূল শহর এলাকা থেকে সদর হাসপাতালটি অনেক দূরে। ফলে শহরের তবলছড়ির পর্যটন, আসামবস্তী, স্বর্ণটিলা, কাটাপাহাড়, আনন্দ বিহার, জেল রোড, পুরাতন হাসপাতাল, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড, এসপি অফিস সংলগ্ন এলাকা, রিজার্ভমুখ, রিজার্ভবাজার, ঝুলুক্যাপাহাড়, জালিয়াপাড়া, গীতাশ্রম কলোনি, চেঙ্গিমুখ, পাথরঘাটাসহ অনেক এলাকার মানুষ জেনালের হাসপাতালের জরুরি চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হন। এসব এলাকার জরুরি রোগীদের চিকিৎসা সুবিধা দিতে রাঙামাটি পুরাতন হাসপাতালটি নতুন করে চালু করা দরকার।সুশীল প্রসাদ চাকমা/এমজেড/পিআর
Advertisement