যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে পালিত হয়েছে পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবে কদর। হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ এ রাতে মুমিন মুসলমান ইবাদত-বন্দেগি ও কান্না-রোনাজারিতে অতিবাহিত করেছে। লক্ষ্য ছিল একটাই- বিগত জীবনের গোনাহ মাফ এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভ।
Advertisement
গতকাল শনিবার ইফতারের পর থেকেই মসজিদে মসজিদে হাজারো ধর্মপ্রাণ মুসলমানের সমাগম ঘটে। রাতভর নফল নামাজ, জিকির-আজকার, কুরআন তেলাওয়াত, কাজা নামাজ, তাওবা-ইসতেগফারে নিয়োজিত থাকেন তারা।
অনেকেই বাড়ি থেকে দূরদূরান্তের বড় বড় ধর্মীয় উপাসনালয়, কবরস্থান, মাজার, দরগাহে পূণ্য লাভের আশায় একত্রিত হয়। কান্না ও রোনাজারিতে পরিবেশ ভারি করে তোলে।
আত্মীয় স্বজন বিভিন্ন করবস্থানে নিজ নিজ মা-বাবা, বংশধরদের জন্য দোয়া করে। নিজেদের গোনাহ মাফে অশ্রু বিসর্জন দেয়।
Advertisement
ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ইবাদত-বন্দেগি ও কান্না-রোনাজারিতে অতিবাহিত গতকাল শনিবার রাত। অনেক জায়গায় ফজরের আগে আবার অনেক স্থানে ফজরের পরে আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয় রাতের ইবাদত।
যদিও শবে কদর সম্পর্কে বিশ্বনবি বলেছেন, শেষ দশকের যে কোনো (বেজোড়) রাতে রয়েছে শবে কদর। কিন্তু অনেক বুজুর্গানেদ্বীন এবং আলেম-ওলামাসহ অনেকেই ২৬ রমজান দিবাগত রাত তথা ২৭ রমজানকে পবিত্র শবে কদর হিসেবে মনে করেন। সে আলোকেই রাতভর ইবাদত-বন্দেগিতে নিজেদের নিয়োজিত রাখে।
পবিত্র শবে কদর মুসলিম উম্মাহর জন্য এক মর্যাদার রাত। এ রাতের ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা একটি স্বতন্ত্র সুরা নাজিল করেছেন। তাতে সুস্পষ্ট ভাষায় বর্ণনা করেছেন- ‘এ রাত হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ।’
তাইতো মুমিন মুসলমান শবে কদরের রাত লাভে মসজিদে মসজিদে ইতেকাফে অংশগ্রহণ করে। আর তা করতে বলেছেন বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
Advertisement
এ শবে কদরকে উপলক্ষ করেই বিভিন্ন গণমাধ্যম বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশ করেছে। ওয়াজ মাহফিল দোয়া ও বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেছে মসজিদ, মাদরাসা ও মাজার-দরগাহ কমিটি।
আবার যেসব মসজিদে কুরআন খতমের মাধ্যমে তারাবিহ হয়েছে, সেখানে খতম উপলক্ষ্য হয়েছে বিশেষ দোয়া। এ রাতে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, জাতি ও রাষ্ট্রের সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা বিশেষ দোয়া করা হয়।
এমএমএস/এমএস