অবশেষে মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পেয়েছে নতুন পে-স্কেল। অনুমোদিত নতুন এ পে-স্কেল অনুযায়ী থাকছে না টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড।সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে নতুন পে-স্কেল অনুমোদন দেয়া হয়। সভা শেষে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ বৈঠকের দিকে তাকিয়ে ছিল দেশের লাখ লাখ সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী। এর আগে গতকাল রোববার দিনভর কঠোর গোপনীয়তার মধ্য দিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন বিভাগ এর আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে।প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, সেপ্টেম্বর মাসে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পে-স্কেল মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে অনুমোদনের জন্য তোলা হবে।এর আগে তিনি গণমাধ্যমকে জানান, টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড তিনি একসঙ্গে রাখার পক্ষে নন। এর মধ্যে যেকোনো একটি বাদ দেয়া হবে। বিষয়টি নিয়ে আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হবে।সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, একটি সুবিধা বাদ দিয়েই চূড়ান্ত করা হয়েছে পে-স্কেল। রোববার অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাহবুব আহমেদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পে-স্কেল নিয়ে কয়েক দফা বৈঠকও করেন।জানা গেছে, নতুন পে-স্কেলে টাইম স্কেল রাখার সম্ভাবনাই বেশি। তবে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের দাবি অনুযায়ী টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড এই দুই সুবিধাই রাখার দাবি শেষ পর্যন্ত থাকছে না। যেকোনো একটি বাদ পড়ছে। বাদ পড়ার তালিকায় সিলেকশন গ্রেড রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।এছাড়া পে-স্কেল পর্যালোচনা কমিটি প্রতি বছর ৫ শতাংশ হারে বেতন বাড়ানোর যে প্রস্তাব দিয়েছে শেষ পর্যন্ত তাও থাকছে না। এর বিপরীতে বিকল্প একটি সুবিধা দেয়া হচ্ছে। নতুন বেতন কাঠামোতে যে ২০টি গ্রেড নির্ধারণ করা হয়েছিল তা বহাল থাকছে। গ্রেডের কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না।পে-কমিশন ও সচিব কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাদ দিয়েই নতুন পে-স্কেল বাস্তবায়নের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়। কিন্তু কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চাপের মুখে সরকার নিজের অবস্থান থেকে কিছুটা সরে আসে।জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নতুন পে-স্কেল সংক্রান্ত ফাইলটি চলে আসায় মন্ত্রিসভার বৈঠকে উত্থাপনের প্রস্তুতি শুরু হয়। সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেয়া হয়নি। এটি ছেড়ে দেয়া হবে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের ওপর। আজ উপস্থাপন করা হলে বিস্তারিত আলোচনা শেষে সিদ্ধান্ত হতে পারে।এসএইচএস
Advertisement