ভারতের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধী ছাড়া অন্য কোনো জাতীয় নেতাকে আর রাষ্ট্রীয়ভাবে স্মরণ করবে না দেশটি। এখন থেকে ভারতে শুধু মহাত্মা গান্ধীর জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকীই রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হবে। গত শনিবার নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার এ সিদ্ধান্ত নেয়। -খবর হিন্দুস্থান টাইমস ফলে কংগ্রেস আমলে জওহরলাল নেহেরু, লাল বাহাদুর শাস্ত্রী, ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধীসহ অন্যান্য জাতীয় নেতাদের জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকী পালনের যে রীতি ছিল তা আর বহাল থাকছে না। তবে কোনো ট্রাস্ট, রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন বা প্রয়াত জাতীয় নেতাদের আদর্শিক সমর্থকরা চাইলে নিজেদের মতো করে জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকীতে সেই নেতাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন। মোদি সরকারের এ সিদ্ধান্ত ২০০০ সালে তৎকালীন বিজেপি সরকারের নেওয়া এক সিদ্ধান্তের অনুরূপ। তখনকার প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ী একই রকম একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার কিছুক্ষণ আগে কেন্দ্রীয় সরকার দেশটির প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর ১২৫তম জন্মবার্ষিকী পালনে গঠিত আগের কমিটি পুনর্গঠন করে। প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে এ কমিটিতে কেন্দ্রীয় সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী এবং কংগ্রেস নেতা মালিকার্জুন খার্গে, গোলাম নবী আজাদ, করণ সিং ও গান্ধী পরিবারের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত সুমন দুবেকে রাখা হয়। তবে এনডিএ সরকারের এ সিদ্ধান্তে খুশি নয় কংগ্রেস। আগের কমিটি বাতিল বিষয়ে মোদিকে আক্রমণও করেছেন দলের নেতারা। তারা বলছেন, মোদি সরকারের নেওয়া এ সিদ্ধান্ত দেশটিতে নেহেরুর অবদান মুছে ফেলতে বিজেপির চলমান কর্মকাণ্ডের অংশ। এর আগে নেহেরু গঠিত জাতীয় পরিকল্পনা কমিশন বাতিল করেন নরেন্দ্র মোদি। -হিন্দুস্থান টাইমস
Advertisement