রাজনীতি

চোর-বাটপার জামিনে মুক্তি পেলেও বেগম জিয়া পাচ্ছেন না : দুদু

অনেক চোর-বাটপার হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিনে মুক্তি পেলেও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া জামিনযোগ্য মামলায় মুক্তি পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন দলের ভাইস-চেয়ারম্যান ও কৃষক দলের আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদু।

Advertisement

তিনি বলেন, 'বেগম খালেদা জিয়া আন্দোলনের নেত্রী, তার মতো রাস্তা থেকে উঠে আসা নেত্রী বাংলাদেশ কেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় একজনও নেই। সেই কারণে তাকে তিলে তিলে মারার পরিকল্পনা করেছে বর্তমান শাসকগোষ্ঠী। দেশে কত চোর, সেরা বাটপার, খুনি হাইকোর্ট-সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন নিয়ে মুক্তি পাচ্ছেন, কিন্তু তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে তথাকথিত মামলায় আটকে রাখা হয়েছে। ন্যায্য ও আইনগতভাবে তার মুক্তি পাওয়ার কথা, কিন্তু তা দেবে না বর্তমান অবৈধ সরকার।

শনিবার (১ জুন) রাজধানীর শিশুকল্যাণ মিলনায়তনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জিয়া নাগরিক ফোরাম (জিনাফ) আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে দুদু বলেন, 'আমরা বলি সংগঠন করে আন্দোলন করব, রাজনীতিতে সংগঠন করে আন্দোলন হয় না। আন্দোলন করেই সংগঠন করতে হয়। তাই বলি আসুন আমরা রাস্তায় নামি, তাহলে দেখবেন কত লোক উপস্থিত হয়েছে আমাদের পাশে। গণতন্ত্র স্বপ্নে পাওয়ার মতো কোনো বিষয় নয়, এটা যুদ্ধ করে, আন্দোলন করে পাওয়ার মতো বিষয়। ’৭১ ও ’৮৯ এর দিকে তাকান তাহলে বুঝতে পারবেন।

Advertisement

জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক জীবন বর্ণনা করে ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, 'শহীদ জিয়াউর রহমান এদেশের একজন বীর। গণতন্ত্রের সাধক ও অগ্র সৈনিক শহীদ জিয়াকে আড়াল করা হয়েছে গণতন্ত্রকে আড়াল করার জন্য। শহীদ জিয়া বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। সততার মূর্ত প্রতীক ছিলেন এটা মুখ্য বিষয় নয়, মুখ্য বিষয় হচ্ছে তার মতো মানুষ বাংলাদেশ আর দ্বিতীয়টি নেই, দক্ষিণ এশিয়ায়ও নেই। তার স্ত্রী খালেদা জিয়া রাজনীতিতে ছিলেন না। যখন স্বৈরাশাসক প্রতিষ্ঠা হলো তখন দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করার জন্য তিনি রাজনীতিতে এসেছেন। তাকে ঠেকানোর জন্য তার জনপ্রিয়তাকে ঠেকানোর জন্য তথাকথিত মামলায় বর্তমান সরকার তাকে জেলে আটক করে রেখেছে।

তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সরকার মিথ্যাচার করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, 'গত ১৪ বছর থেকে আওয়ামী লীগ তারেক রহমানকে খুব খারাপ বলে আসছে। তাকে এত খারাপ বলে আসছে তার পরও তাকে দেশে আসতে দেয়া হচ্ছে না। অর্থাৎ জিয়া পরিবার মানেই গণতন্ত্র, জিয়া পরিবার মানেই স্বাধীনতা, জিয়া পরিবার মানে ন্যায়-নিষ্ঠার প্রতীক। সে জন্য এই পরিবারকে ধ্বংস করতে বর্তমান শাসকগোষ্ঠী উঠে পড়ে লেগেছে।

আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কে এ জামানের সভাপতিত্বে এবং কর্মজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন সরদারের সঞ্চালনায় ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ।

আরও বক্তব্য রাখেন লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ডেমোক্রেটিক লীগের সভাপতি সাইফুদ্দিন মনি, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যকে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।

Advertisement

কেএইচ/এমএমজেড/এমএস