প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ করতে নাড়ির টানে যান্ত্রিক নগরী ছেড়ে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন ঢাকাবাসী। বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশে রাজধানীর বিমানবন্দর রেল স্টেশনে ভিড় করছেন নগরীর কর্মব্যস্ত মানুষদের একটি অংশ।
Advertisement
প্রিয়জনের সান্নিধ্য পেতে শনিবার (১ জুন) ভোর থেকেই এ রেল স্টেশনটিতে ভিড় করছে মানুষ। অবশ্য গতকাল শুক্রবার (৩১ মে) থেকেই ঢাকা ছাড়ার এ যাত্রা শুরু হয়েছে। অগ্নিবীণা এক্সপ্রেসে তারাকান্দি যেতে পরিবার নিয়ে বিমানবন্দর রেল স্টেশনে এসেছেন মো. সুমন।
তিনি বলেন, আমরা দু’জনেই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। অফিসের বসকে বলে ৩ তারিখ (৩ জুন) ছুটির ব্যবস্থা করেছি। শুক্রবারেই গ্রামের বাড়ি যাওয়ার ইচ্ছা ছিল কিন্তু টিকিট পায়নি, তাই আজ (শনিবার) যাচ্ছি।
সুমন আরও বলেন, আমাদের ট্রেন (অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস) ১০টার সময় আসার কথা, তাই একটু আগেভাগেই স্টেশনে চলে এসেছি। গ্রামের বাড়িতে বাবা-মা সবাই আমাদের পথ চেয়ে বসে আছেন। যতক্ষণ না বাড়িতে পৌঁছাব, ততক্ষণে মনে শান্তি আসবে না।
Advertisement
অগ্নিবীণা এক্সপ্রেসের আরেক যাত্রী হৃদয় বলেন, বছরে দুই ঈদেই গ্রামের বাড়িতে যাই, এছাড়া গ্রামের বাড়িতে খুব একটা যাওয়া হয় না। গ্রামের বাড়ি মা আছে, ভাই-বোন আছে। সবার জন্য মন কাঁদে কিন্তু জীবিকার তাগিদে ঢাকায় পড়ে থাকতে হয়।
তিনি আরও বলেন, ১০টায় ট্রেন ছাড়ার কথা, কিন্তু স্টেশনে এসে শুনছি ট্রেন লেটে আসবে। কত সময় লেট হবে তা জানতে পারেনি। দেখা যাক, কয়টায় ট্রেন আসে। দেরি হলে কী আর করা, ট্রেনে ওঠে বাড়ি ফিরতে পারলেই হবে।
দিনাজপুর যেতে একতা এক্সপ্রেসে জন্য বিমানবন্দর রেল স্টেশনে অপক্ষো করছেন ফাতেমা। তিনি বলেন, গ্রামের বাড়িতে বাবা-মা, ভাই-বোন সবাই আছে। চার ভাই-বোনের মধ্যে আমি সবার বড়। তাই সংসারের হালটা আমাকে ধরতে হয়েছে। এ জন্য প্রিয়জনদের ছেড়ে ঢাকায় পড়ে আছি।
ফাতেমা আরও বলেন, অনেকদিন পর বাবা-মায়ের কাছে যাচ্ছি। খুব ভালো লাগছে। ১০টা ২০ মিনিটে ট্রেন আসার কথা। ট্রেন যাতে মিস না হয় সে জন্য আগেভাগেই চলে এসেছি, ট্রেন দেরি হয় হোক।
Advertisement
বিমানবন্দর রেল স্টেশনে দায়িত্ব পালন করা এক আনসার সদস্য বলেন, আজ (শনিবার) যাত্রীদের ভিড় তুলনামূলক কম। ট্রেন যাত্রীদের মূল ভিড় হবে সোম ও মঙ্গলবার। ওই দুই দিন স্টেশনে পা ফেলার জায়গা থাকবে না।
এমএএস/আরএস/জেআইএম