উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে লোকজনের খুশি হওয়ার কথা। কিন্তু কিছু উন্নয়ন প্রকল্প এত ধীর গতিতে হচ্ছে যে তাতে জনভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। এতে যার পর নাই মানুষজন বিরক্ত। এ অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে উন্নয়ন কাজ শেষ করতেই যদি বছরের পর বছর পার হয়ে যায় তাহলে লোকজন এর সুফল পাবে কখন?
Advertisement
চলতি বছর রাজধানীতে মেট্রোরেলসহ আরও বিভিন্ন সংস্থার উন্নয়ন কাজ চলছে। সড়কগুলো কেটে ফেলায় ভোগান্তির মাত্রা কয়েকগুণ বেড়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডের অলিগলিতে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। এসব সড়ক দিয়ে পথচারীদের চলাচলে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চললে তাতে সাময়িক ভোগান্তি হবে এটাই স্বাভাবিক। মানুষজন এটা মেনেও নেয়। কিন্তু এটা যখন বছরের পর বছর ধরে চলে তখনই তা সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যায়।
এছাড়া ওয়াসা, ডেসা ও তিতাসের উন্নয়ন কাজের সাথে কোনো সমন্বয় না থাকায় সারাবছর ধরেই চলছে খোঁড়াখুঁড়ি। এতে এক অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ধুলার রাজ্যে চলাই দায়। এছাড়া এ রাস্তায় যানজট ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ৩০মিনিটের রাস্তা পার হতে সময় লাগছে অনেক সময় ২ ঘন্টারও বেশি। মিরপুরেও চলছে খোঁড়াখুঁড়ি। খোঁড়াখুঁড়ির কারণে যানজট লেগেই আছে।
Advertisement
এভাবে রাজধানী জুড়েই এক সংস্থার কাজ শেষ হয় তো আরেক সংস্থা শুরু করে। এতে শুধু জনভোগান্তিই হয় না রাষ্ট্রীয় কোষাগারের অর্থের শ্রাদ্ধও হয়। এখন চলছে সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র রমজান। কিন্তু এ মাসেও যানজট থেকে রেহাই নেই। মূলত খোঁড়াখুঁড়ির কারণেই দেখা দিয়েছে এই যানজট।
এমনিতেই বাস-অযোগ্য তালিকায় বার বার উঠে আসছে রাজধানী ঢাকার নাম। তারওপর সারাবছর ধরে উন্নয়ন কাজের নামে খোঁড়াখুঁড়ি চলতে থাকায় পরিস্থিতিকে তা আরও নাজুক করে তুলছে। রোদ থাকলে ধুলা আর একটু বৃষ্টি হলেই কাদা। দেখা দেয় জলাবদ্ধতাও।
যানজট, ধুলো দূষণে নগরবাসী এমনিতেই অতিষ্ঠ। এখন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কারণে তাদের ভোগান্তি যেন চরমে না পৌঁছে সেটি নিশ্চিত করতে হবে যে কোনো মূল্যে। সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে জনভোগান্তির বিষয়টি গুরুত্বসহকারে আমলে নিয়ে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
এইচআর/জেআইএম
Advertisement