জাতীয়

প্রতিযোগিতার প্রভাব পড়েছে বেচাকেনায়

রাজধানীর নিউ সুপার মার্কেটে ইয়াংদের নজর কাড়ছে টি শার্ট আর জিন্স প্যান্ট। ২৫০ টাকা থেকে শুরু করে দেড় হাজার টাকায় বিক্রি হচ্চে টি শার্ট। জিন্স প্যান্টের ক্ষেত্রেও শুরু ৩০০ টাকা, সর্বোচ্চ দেড় হাজার টাকা। এই মার্কেটে নারীদের চেয়ে পুরুষ ক্রেতার ভিড় বেশি। বিশেষ করে যুবক ছেলেরা দলবেঁধে কেনাকাটা করার জন্য ঢুকছেন এই মার্কেটে। এ মার্কেটে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় অধিকাংশ ছেলেদের পছন্দ টি শার্ট আর জিন্স প্যান্ট।

Advertisement

এই মার্কেটের ‘জিহান খাদি ঘর’। এখানে টি শার্ট, ফুল শার্ট, জিন্স, গেঞ্জি, ফতুয়া, ট্রাউজার, থ্রি কোয়ার্টার, টু কোয়ার্টার সব পাওয়া যাচ্ছে। এ কারণে এ দোকান ভিড়ও একটু বেশি। বেচাকেনাও হচ্ছে বেশ ভালো। তবে বিক্রির গতিতে এই মার্কেটের কোনো দোকানদারই খুশি না। তারা বলছেন, আশা ছিল ১৫ রোজার পর থেকেই কাস্টমারের চাপ বাড়বে। কিন্তু সে তুলনায় বাড়েনি।

জিহান খাদি ঘরের মালিক বাবুল মুন্সি বলেন, ‘আজ (শুক্রবার) যে রকম বিক্রি হচ্ছে বাকি দিনগুলোও যদি এভাবে বিক্রি হয় তাহলে কিছুটা হয়তো পোষাবে। তবে অন্যান্য বছরের মতো লাভ হবে না।’ তিনি বলেন, ‘আমার এই দোকানে ২৫০ টাকার টি শার্ট, ২৫০ টাকার ফতুয়া ও ৩৫০ টাকার ফুল শার্ট এবং ৩০০ টাকার জিন্স প্যান্ট থেকে শুরু করে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত দামের পোশাক আছে।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখন মার্কেটে কম্পিটিশন। কোনো পণ্যতেই আহামরি লাভ হয় না।’

ঈদের কেনাকাটা করতে সাভার নবীনগর থেকে এসেছেন তিন বন্ধুু। তাদের নাম বুলবুল, মিরাজ আর তপু। তারা অনেক কিছুই কেনাকাটা করেছেন। এক প্রশ্নের জবাবে বুলবুল বলেন, ‘এই মার্কেটে জিনিস ত্রের দাম বেশি চাচ্ছে। সাভারে যে প্যান্ট ৩০০ টাকায় পাওয়া যায় সেই প্যান্টের দাম এখানে ৮০০ টাকা দাম চাওয়া হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এখান থেকে জিন্স প্যান্ট কিনব না। এখান থেকে শুধু টি শার্ট কিনেছি।’

Advertisement

এই মার্কেটের ওয়েস্টার্ন ফ্যাশন, সাজঘর, নিলয় ট্রেডার্স, অসীন ফ্যাশন, রুমকি ফ্যাশন, সৃষ্টি ফ্যাশন, আজিজ গার্মেন্টস, তৃষা ফ্যাশনসহ অন্তত ১৫টি দোকানের মালিক এবং কর্মচারীর সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। তারা প্রায় সবাই বললেন, ‘বিক্রির অবস্থা ভালো না।’ ওয়েস্টার্ন ফ্যাশনের মালিকের ছেলে আকাশ বলেন, ‘কিছু টি শার্ট আর জিন্সের প্যান্ট বিক্রি হচ্ছে। অন্য কোনো পোশাকের তেমন বিক্রি নেই। যেসব পোশাকের ওপর কিছু ছাড় দেয়া হয়েছে সেগুলোই বিক্রি হচ্ছে।’

তৃষা ফ্যাশনের মালিক মো. ইয়াকুব বলেন, ‘স্টকের কিছু টি শার্ট ও ফতুয়ার ওপর ১৫ ভাগ ছাড় দিয়ে বিক্রি করছি। এই পোশাকগুলো ভালো বিক্রি হচ্ছে।’ তবে গতবার যে ব্যবসা হয়েছে এবার তার অর্ধেক ব্যবসা হবে কিনা সন্দেহ পোষণ করেন ইয়াকুব। গত বছর ১ রোজার পর থেকে যেভাবে পোশাক বিক্রি হয়েছে এবার তার অর্ধেক বিক্রি এখন পর্যন্ত হয়নি।

এফএইচএস/এসআর/জেআইএম

Advertisement