জাতীয়

মানবিক কারণে ফুটপাত হকারদের অঘোষিত ছাড়!

হঠাৎ করে দেখলে মনে হবে যেন কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত। সূর্যের আলো থেকে পর্যটকদের রক্ষা করতে সারি সারি বিশাল সাইজের ছাতা টানানো হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে নিউমার্কেট ফুটওভার ব্রিজ সংলগ্ন গোল চত্বরের জুতার দোকানিরা বড় বড় ছাতা টানিয়ে নিচে দাঁড়িয়ে বেচাকেনা করছিলেন। আজ শুক্রবার দুপুরে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে।

Advertisement

কয়েকদিন আগেও পুলিশ-র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এখানে হকারদের বসতে দেয়ন‌ি। শুধু এখানে নয়, আশপাশে নিউমার্কেট, গাউছিয়া, চাদনী চক, নুরজাহান মার্কেট, হকার্স মার্কেট ও বলাকার ফুটপাতে হকার বসতে দেয়ার ব্যাপারে তারা ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করছিলেন। কিন্তু আজ শুক্রবার হকারদের প্রতি কিছুটা সদয় হতে দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের। এসব এলাকার ফুটপাতে অসংখ্য হকারের কাউকে প্রকাশ্যে আবার কাউকে লুকিয়ে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করতে দেখা যায়। পুলিশ-র‌্যাবের পাশাপাশি কমিউনিটি পুলিশকেও হালকা সুরে হকারদের তাড়ানোর জন্য হাঁকডাক দিতে দেখা গেল।

সরেজমিনে নিউমার্কেটের আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, আজ ছুটির দিনে মার্কেট ও ফুটপাতে বেশ ভিড়। প্রখর রোদকে উপেক্ষা করে অনেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে শেষ মুহূর্তের ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছেন। তাদের অনেককে ফুটপাতে কেনাকাটা করতে দেখা যায়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক‌াধিক পুলিশ কর্মকর্তা বললেন, মানবিক কারণেই ঈদের আগে কয়েক দিন অঘোষিতভাবে ফুটপাতে হকারদের বসতে দেয়া হচ্ছে।

Advertisement

তবে হকাররা জানিয়েছেন, ফুটপাতে বিক্রি করার সুযোগ পেতে তাদের আগের চেয়ে দ্বিগুণ পরিমাণ চাঁদা পরিশোধ করতে হচ্ছে।

এমইউ/এসআর/পিআর