জাতীয়

সুতি পাঞ্জাবির চাহিদা বেশি

ঈদের দিন পাঞ্জাবি না পরলে নিজেকে ঠিক পরিপূর্ণ লাগে না। ঈদে পুরুষের প্রথম পছন্দ পাঞ্জাবি। ঈদের সকালে গোসলের পর পাঞ্জাবি ছাড়া কী হয়! নতুন পাঞ্জাবি গায়ে, হাতে আতরের গন্ধ ছড়িয়ে কোলাকুলিতেই ঈদের আনন্দ। আর এ পাঞ্জাবিটি হওয়া চাই অভিজাত ও আধুনিক ডিজাইনের এক্সক্লুসিভ।

Advertisement

ছেলে-বুড়ো সবাই চায় নিজের পাঞ্জাবি অন্যের চেয়ে একটু আলাদা হোক। ক্রোতাদের এসব চাহিদার কথা মাথায় রেখে ফ্যাশন হাউসগুলোও বৈচিত্র্যময় নানান ধরনের পাঞ্জাবি সমাহার সাজিয়ে তুলেছেন। আর অল্প কয়দিন পরই মুসলমানদের সর্ববৃহৎ উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপন হবে। তাই পাঞ্জাবির বেচাকেনা বেড়েছে কয়েক গুণ।

বৃহস্পতিবার রাজধনীর আজিজ সুপার মার্কেট, এলিফ্যান্ট রোডসহ কয়েকটি মার্কেটের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আসন্ন ঈদে তাপমাত্রা বেশি হওয়ায় আরামদায়ক হালকা রঙ্গের কম কাজের সুতি পাঞ্জাবির চাহিদাই বেশি।

এ বিষয়ে নিউ এলিফ্যান্ট রোডের পাঞ্জাবির শো-রুম ‘রূপসী বাংলা’র ম্যানেজার মো. মামুন জাগো নিউজকে বলেন, এবার খুব গরম পড়ায় মানুষ হালকা সুতি ও ফেন্সি কমফরটেবল পাঞ্জাবি বেশি পছন্দ করছে। এছাড়া বিভিন্ন ইন্ডিয়ান ফেব্রিক্সের পাঞ্জাবিরও চাহিদা রয়েছে। তবে সেগুলোই যাতে পরে গরম না লাগে সে বিষয়টিতে গুরুত্ব দিচ্ছেন ক্রেতারা।

Advertisement

তিনি বলেন, তাদের শো-রুমে দুই ধরনের পাঞ্জাবি পাওয়া যায়। ইন্ডিয়ার কাপড় ও ইন্ডিয়াতেই তৈরি এবং ইন্ডিয়ার কাপড় ও বাংলাদেশে তৈরি এ দুই ধরনের পাঞ্জাবিরই বেশি চাহিদা। তাদের শো-রুমে ১ হাজার ৩৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৫ হাজার ৫৫০ টাকার পর্যন্ত পাঞ্জাবি রয়েছে। এবার বিক্রি বেশ ভালো বলেও জানান মামুন।

‘রূপসী বাংলা’ শো-রুম থেকে ইনাম নামের এক ক্রেতা হালকা কাজ করা ঘিয়া রংয়ের একটি পাঞ্জাবি কিনলেন। জানতে চাইলে তিনি জাগো নিউজ বলেন, এবার বেশ গরম পড়ায় হালকা রংটায় বেছে নিলেন।

পাঞ্জাবির চাহিদার বিষয়ে জানতে চাইলে আজিজ সুপার মার্কেটের ‘রেইন’ শো-রুমের ম্যানেজার এইচটি সাগর বলেন, তারা মূলত পাইকারি পাঞ্জাবি বিক্রি করেন। এবার সারাদেশে সুতি কাপড়ের হালকা কাজের পাঞ্জাবির চাহিদা বেশি। এ ছাড়া এবার পাঞ্জাবির বাজারে ইন্ডিয়ান জ্যাকস ব্র্যান্ডের পাঞ্জাবির চাহিদাও বেশ। বিশেষ করে, তরুণ ক্রেতারা এ ধরনের নতুন পাঞ্জাবি বেশি পছন্দ করছে।

সাগর জানান, ইন্ডিয়ান জ্যাকস ব্র্যান্ডের ২ হাজার থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

Advertisement

এছাড়া আজিজ সুপার মার্কেটের ‘সি-প্লাস’ শো-রুমের ম্যানেজার বলেন, তারা মূলত দেশীয় তাঁতের পাঞ্জাবি বিক্রি করেন। ১ হাজার ৩৮০ টাকা শুরু করে ১ হাজার ৬০০ টাকার মধ্যে তাঁতের ভালোমানের পাঞ্জাবি পাওয়া যাচ্ছে। তাছাড়া ইন্ডিয়ান বিভিন্ন কাপড়ের পাঞ্জাবি ২ হাজার টাকা থেকে আড়াই হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। এবার বিক্রি বেশ ভালো বলে জানান তিনি।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, পাঞ্জাবির নকশায় এ বছর ফুলেল আবহ রয়েছে। মোগল স্থাপত্যের অলঙ্করণে থাকা ফুলসহ লতাপাতার ব্যবহার দেখা যাবে পাঞ্জাবির বাটনপ্লেট, কলার ও হাতার ওপর-নিচে। আছে নানা রকম ত্রিমাত্রিক (থ্রিডি) ছাপার কাজও। একদম সাদামাটা আর কিছু পাঞ্জাবিতে রয়েছে ভারি কাজ।

পাঞ্জাবিতে সুতি কাপড় বেশি ব্যবহার করা হয়েছে। কিছু পাঞ্জাবিতে সুতির সঙ্গে আছে সিল্কের মিশেল। এতে পাঞ্জাবি হয়েছে মোলায়েম। ভিসকস, নরসিংদীর খাদিতেও তৈরি হয়েছে ঈদের পাঞ্জাবি। অনেক ফ্যাশন হাউস আবার বিদেশি কাপড় দিয়ে তৈরি করেছে ঈদের পাঞ্জাবি।

এমইউএইচ/জেএইচ/এমএস