জাতীয়

৫ ঘণ্টা দেরিতে ছাড়বে রংপুর এক্সপ্রেস

ঈদযাত্রার প্রথম দিন ভোগান্তি নিয়েই যাত্রা শুরু করেছে ঘরমুখো মানুষ। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে উত্তরবঙ্গগামী মানুষ। কেননা ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া উত্তরবঙ্গগামী প্রায় সব ট্রেনই নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দেরিতে ছেড়েছে। এছাড়া চট্টগ্রামগামী সোনার বাংলা, সিলেটগামী পারাবত এক্সপ্রেসও দেরিতে কমলাপুর ছেড়েছে।

Advertisement

শুক্রবার (৩১ মে) কমলাপুর স্টেশনে দেখা যায়, মানুষ আর মানুষ। সবাই অপেক্ষায় রয়েছেন কাঙ্ক্ষিত ট্রেনের। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত ট্রেনের যেন দেখা নেই। কারণ সকাল ৯টায় রংপুর এক্সপ্রেস কমলাপুর থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও তা এখনও স্টেশনে এসেই পৌঁছায়নি।

স্টেশনে ট্রেনের তথ্যের ডিসপ্লেতে ট্রেনটি ছাড়ার সম্ভাব্য সময় দেয়া হয়েছে দুপুর ২টা ১০ মিনিট। কিন্তু সে সময়েও ট্রেনটি ছাড়তে পারবে কি-না তা নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সন্দেহ রয়েছে।

এদিকে সকালে রাজশাহীগামী ধুমকেতু ভোর ৬টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও তা দুই ঘণ্টা দেরিতে ছেড়ে গেছে। চট্টগ্রামগামী সোনার বাংলা এক্সপ্রেস সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে ছাড়ার নির্ধারিত সময় থাকলে কমলাপুর ছেড়ে যায় সকাল সোয়া ৮টায়। সিলেটগামী পারাবত এক্সপ্রেস সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে ছাড়ার নির্ধারিত সময় থাকলেও ছেড়ে যায় সাড়ে ৭টায়। সকাল ৮টার চিলাহাটিগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি আড়াই ঘণ্টা দেরি করে সকাল সাড়ে ১০টায় ছেড়ে যায়।

Advertisement

এদিকে সকালে ঈদযাত্রা উপলক্ষে যাত্রীদের খোঁজ নিতে কমলাপুর স্টেশনে আসেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। এ সময় তিনি ট্রেন, প্লাটফর্ম ঘুরে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন।

পরে স্টেশনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, শুক্রবার সারাদিন কমলাপুর স্টেশন থেকে ৫২টি ট্রেন ছেড়ে যাবে। বেলা ১১টা পর্যন্ত মোট ১৮টি ট্রেন ছেড়ে গেছে। এর মধ্যে দেরি হয়েছে চারটির, এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি দেরি হচ্ছে রংপুর এক্সপ্রেসের।

‘ট্রেনটির প্রথম দিনে প্রায় সোয়া সাত ঘণ্টা দেরি হতে পারে। এ জন্য আমরা খুবই দুঃখিত। তবে এটা সমাধানে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। রংপুর থেকে রংপুর এক্সপ্রেস নামে অন্য একটি ট্রেন যাত্রী নিয়ে ঢাকায় আসবে। ফলে আজকের এ বিলম্ব আগামীকাল থেকে হবে না।’

৩১ মে’র রংপুর এক্সপ্রেসের অগ্রিম টিকিট নিতে গত ২২ মে লাইনে দীর্ঘ অপেক্ষা করে টিকিট সংগ্রহ করেছিলেন বেসরকারি চাকরিজীবী হুমায়ন কবির।

Advertisement

তিনি বলেন, ঈদযাত্রায় বিড়াম্বনা এড়াতে একটু আগেই বাড়ি যেতে চেয়েছিলাম। সঙ্গে যেহেতু স্ত্রী, সন্তানরা যাবে তাই একটু আগে বাড়ি যেয়ে ঈদের পরের দিন তাড়াতাড়ি ফিরে আসবো। সেভাবেই ছুটি নিয়েছি। কিন্তু স্টেশনে এসে দেখলাম সকাল ৯টার ট্রেন ছাড়বে দুপুর ২টা ১০ মিনিটে। শিশু সন্তানসহ পরিবার নিয়ে স্টেশনে এসে যদি এ দৃশ্য দেখতে হয় এর চেয়ে ভোগান্তি আর কিছু থাকতে পারে না।

তিনি বলেন, প্রতিবার ঈদে যাত্রীদের এমন ভোগান্তি পোহাতে হয়। মানুষ বিড়ম্বনা সহ্য করে ঈদে বাড়ি যায়। তাই বলে প্রথম দিনের ঈদযাত্রার একটি ট্রেন ৫/৭ ঘণ্টা দেরি করবে এটা কীভাবে মেনে নেয়া সম্ভব?

এএস/এএইচ/এমএস