দেশজুড়ে

সরকারি চাল বিতরণ নিয়ে হট্টগোল, চেয়ারম্যান অবরুদ্ধ

বরগুনা সদর উপজেলার সদর ইউনিয়নে ঈদের জন্য নির্ধারিত বিশেষ বরাদ্দের চাল বিতরণের সময় সংঘর্ষে ইউপি সদস্যসহ ৭ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে সদর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের পর সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম আহাদ সোহাগকে অবরুদ্ধ করা হয়। পরে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে।

Advertisement

আহত ইউপি সদস্যের নাম অরুণ। তাকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

এ বিষয়ে সদর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মনির হোসেন বলেন, ঈদের জন্য নির্ধারিত বিশেষ বরাদ্দের ১৫ কেজি করে চাল বিতরণের জন্য বৃহস্পতিবার বিকেলে কার্ডধারীদের আসতে বলা হয়। সবাই উপস্থিত হওয়ার পর ৩০ কেজির বস্তা ভেঙে বালতি দিয়ে মেপে চাল বিতরণ শুরু করেন ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম আহাদ সোহাগ। এতে ইউপি সদস্যরা আপত্তি তুলে দুটি কার্ডে এক বস্তা করে চাল বিতরণের অনুরোধ করেন। কিন্তু এতে আপত্তি তোলেন চেয়ারম্যান।

এ নিয়ে ইউপি সদস্য অরুণের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে অরুণকে চেয়ারম্যান ও তার সহযোগীরা মারধর শুরু করেন। এ সময় চাল নিতে আসা লোকজনের সঙ্গে চেয়ারম্যানের লোকজনের সংঘর্ষ বাধে। বিক্ষুব্ধ জনতার তোপের মুখে চাল দেয়া বন্ধ করে চেয়ারম্যান সোহাগ তার কক্ষে অবস্থান নিলে তাকে অবরুদ্ধ করেন চাল নিতে আসা লোকজন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে।

Advertisement

এরপর বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাত ৮টার দিকে পুলিশের সহায়তায় অবরুদ্ধ চেয়ারম্যান গোলাম আহাদ সোহাগকে মুক্ত করেন।

এ বিষয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইউপি সদস্য অরুণ বলেন, চেয়ারম্যান চাল আত্মসাতের জন্য বালতি দিয়ে মেপে বিতরণ করছিলেন। এর প্রতিবাদ করায় তার ক্যাডাররা আমাদের উপর হামলা করেছে।

তবে চেয়ারম্যান গোলাম আহাদ সোহাগ বলেন, চাল ঠিকমতই বিতরণ চলছিল। সদস্যরা জনগণকে ক্ষেপিয়ে আমার উপর পরিকল্পিত হামলা চালিয়েছে। আমি কোনো অনিয়ম করিনি।

এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবির হোসেন মাহমুদ বলেন, এ ঘটনায় কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Advertisement

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আনিসুর রহমান বলেন, ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যান উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি সামাল দেয়া হয়েছে। শুক্রবার আমার উপস্থিতিতে চাল বিতরণ করা হবে।

সাইফুল ইসলাম মিরাজ/এফএ/এমএস