খেলাধুলা

বাড়ি থেকে পালিয়েছেন ক্রিকেটার শাহাদাত

গৃহকর্মী হ্যাপিকে নির্যাতনের দায়ে যেকোনো সময় গ্রেফতার হতে পারেন জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার শাহাদাত হোসেন। তাকে সস্ত্রীক গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। রোববার রাতে রাজধানীর কালশী থেকে পল্লবী থানা পুলিশ শাহাদাতের গৃহকর্মী মাহফুজা আক্তার হ্যাপিকে (১১) উদ্ধার করে। হ্যাপি তার ওপর অমানবিক নির্যাতনের জন্য শাহাদাত হোসেন রাজীব ও তার স্ত্রী নিত্য শাহাদাতের কথা জানায়। পরে হ্যাপিকে মিরপুর মডেল থানায় পাঠালে সেখানে খন্দকার মোজাম্মেল হক নামে স্থানীয় একজন সাংবাদিক নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় পুলিশের মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ভুইয়া মাহবুবুর রহমান জাগো নিউজকে জানান, মেয়েটিকে উদ্ধারের পর থেকেই শাহাদাতের বাসভবনসহ সম্ভাব্য কয়েকটি স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে। তবে তার বাড়িতে গিয়ে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। তারা পলাতক রয়েছেন। যত দ্রুত সম্ভব তাদের গ্রেফতার করা হবে। অভিযান চলছে। পুলিশের মিরপুর জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) কাইয়ুমুজ্জামান খান বলেন, মামলা হয়েছে, যতই প্রভাবশালী হোক না কেন আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে। ইতিমধ্যে অভিযান চলমান আছে। শাহাদাতকে গ্রেফতারে ইতিমধ্যে প্রযুক্তির সাহায্য নিয়েছে পুলিশ। তিনি যেন দূরে কোথাও পালিয়ে যেতে না পারেন তাই এত দ্রুত এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এদিকে শাহাদাতের বিরুদ্ধে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, হ্যাপির শরীরের অধিকাংশ স্থানে গুরুতর জখম ও ফুলে গেছে, দু’চোখে আঘাতের চিহ্ন ও ফোলা, দু’পায়ে জখম ও দাহ্য পদার্থ ও গরম খুনতির ছ্যাকার দাগ রয়েছে। এছাড়াও পুলিশের কাছে হ্যাপি বলেছে, শাহাদাত প্র্যাকটিসের পর একটি লাঠি কিনে নিয়ে আসে। সেটি দিয়ে তাকে পেটানো হয়। তার গাড়িতে সবসময় একটি লাঠি থাকে, সেটি দিয়েও তাকে পেটানো হয়েছে। বিভিন্ন অজুহাতে মারধর করতো। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে হ্যাপির শারীরিক পরীক্ষা ও চিকিৎসা চলছে। মামলার বাদী সাংবাদিক মোজাম্মেল হক জানান, হ্যাপির সঙ্গে তার কোন সম্পর্ক না থাকলেও সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকে তিনি মামলাটি করেছেন। এর আগে, শাহাদাতের বাসায় নির্যাতনের শিকার হ্যাপি রোববার দুপুরে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মিরপুর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন শাহদাত। রাতে পল্লবী থানা এলাকার কালশীর একটি সড়ক থেকে হ্যাপিকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা। এআর/এসএইচএস/এমএস

Advertisement