কৃষি যন্ত্র কিনতে ব্যয় হবে কৃষি মন্ত্রণালয়ের ভর্তুকি খাতের উদ্বৃত্ত তিন হাজার কোটি টাকা।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সচিবালয়ে ধানের কম বাজার মূল্যের বিষয়ে সরকারের গৃহীত কার্যক্রম নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক এ কথা বলেন।
২০১৭ সালের চাল আমদানির শুল্ক রেয়াতের পর চাহিদার অতিরিক্ত চাল আমদানি, উৎপাদন বৃদ্ধি ও শ্রমিকের অভাবে এবার ধানের মূল্য কমে গেছে বলে জানান মন্ত্রী।
শ্রমিক সংকট নিরসনে যান্ত্রিকীকরণের বরাদ্দ বাড়ানো হবে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘ইতিমধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে বিগত অর্থবছরের রাজস্ব বাজেট বাবদ বরাদ্দকৃত ভর্তুকি খাতের তিন হাজার কোটি টাকা যান্ত্রিকীকরণ খাতে ব্যয় করার সিদ্ধান্ত হয়েছে এবং সে মোতাবেক খসড়া প্রকল্পও প্রণয়ন করা হয়েছে।’
Advertisement
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সমস্যার (কৃষক ধানের ন্যায্যমূল্য না পাওয়া) সবচেয়ে বড় সমাধান কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ করা। এটা হলো মূল। এটা সরকারের দায়িত্ব। সরকার ইতিমধ্যে কৃষি যন্ত্রপাতির ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ ভর্তুকি দিয়েছে। একটা হার্ভেস্টারের দাম যদি ১২ লাখ টাকা হয় সরকার দেবে ছয় লাখ, চাষি দেবে ছয় লাখ টাকা। হাওর ও উপকূলবর্তী এলাকায় সরকার দেয় ৭০ শতাংশ, চাষী দেয় ৩০ শতাংশ। চাষীর যে অংশ সেটা দেয়ার মতো চাষীও অনেক সময় পাওয়া যায় না। সরকারেরও সীমাবদ্ধতা রয়েছে।’
‘এ কথা আমরা তুলেছি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এটাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে যান্ত্রিকীকরণে আমাদের যেতেই হবে। এজন্য উনি বরাদ্দ বাড়াবেন। ইতিমধ্যে যেটা নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে তা হলো, আমাদের ৯ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব বাজেটে থাকে কৃষিতে ভর্তুকি দেয়ার জন্য। ৬-৭ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়, উনি বলেছেন উদ্বৃত্ত সেই তিন হাজার কোটি টাকা কৃষি যান্ত্রিকীকরণে কৃষককে ভর্তুকি বা প্রণোদনা হিসেবে দিতে’ -বলেন কৃষিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আমরা একটা প্রকল্প করছি সেটার মাধ্যমেও চাষিকে ধান কাটা, মাড়াই ও বস্তায় ভরার কাজ হবে মেশিনের মাধ্যমে। এ ধরনের ছোট মেশিনের দাম ১২ লাখ টাকা, আমরা ভালো মানের যন্ত্র নেব। আমরা চীন ও জাপানের বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করছি।’
আরএমএম/এএইচ/এমকেএইচ
Advertisement