অনেকদিন ধরেই বাবার সম্পত্তির ওপর লোভ ছিল তার। প্রায়ই নিজের নামে সম্পত্তি লিখিয়ে দেয়া নিয়ে বাবার সঙ্গে বিবাদে জড়াতেন। সেই বিবাদ এমন চরমে উঠলো যে, বাবাকে হত্যা করে ফেলেন। শুধু হত্যা করেই ক্ষান্ত দেননি। বাবার মরদেহ ২৫ টুকরো করে বস্তাতে করে অন্যত্র সরানোর চেষ্টা করেন।
Advertisement
ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটিয়েছেন রাজধানী দিল্লির শাহদরা এলাকার বাসিন্দা আমন আগারওয়াল। তিনি তার বাবা সন্দেশ আগারওয়ালকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন।
এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, হত্যার পর বন্ধুদের সহায়তায় সেই টুকরো করা লাশ বস্তায় করে বাড়ি থেকে সরানোর সময় অভিযুক্তকে সাহায্য করেছিল তার চার বন্ধু। কিন্তু টুকরো লাশের বস্তা নিয়ে বাড়ি থেকে কিছুদূর যাওয়ার পর তারা হাতেনাতে ধরা পড়ে। আমনের তিন বন্ধু পালিয়ে গেলেও অপর এক বন্ধুসহ ধরা পড়ে যান অভিযুক্ত আমান আগারওয়াল।
তাদেরকে গ্রেফতারের পর, স্থানীয় থানার পুলিশ প্রধান পুরো ঘটনাটিকে নৃশংস বলে বর্ণনা করেছেন। পুলিশ বলছে, পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে বাবাকে খুন করেছে তার ছেলে। হত্যার শিকার ৪৮ বছর বয়সী সন্দেশ আগারওয়ালে আরও একটি ছেলে ও একটি মেয়ে রয়েছে।
Advertisement
বাবার হত্যাকারী আমন আগারওয়াল পুলিশের কাছে বলেছেন, সম্পত্তি নিয়ে প্রতিদিন ঝগড়া হত পরিবারে সদস্যদের মধ্যে। বাবা তাকে অকারণে বকাবকি করতেন। সেই ক্ষোভ থেকেই বাবাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে সে। তাকে এ কাজে সাহায্য করে তার চার বন্ধু।
মর্মান্তিকভাবে হত্যার শিকার সন্দেশ আগারওয়ালের ভাইয়ের দাবি, একমাস আগেই নাকি আমন তার বাবাকে হত্যা করার হুমকি দিয়েছিল। কিন্তু, সে যে সত্যি সত্যিই এভাবে বাবাকে মেরে ফেলবে, তিনি তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি। অভিযুক্ত আমন একা নয়, তার মা এবং পরিবারের অন্যান্যরাও এই খুনের সঙ্গে জড়িত বলে দাবি তার।
ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে স্থানীয় শাহদরা থানার পুলিশ। ঘটনার কারণ জানতে পুলিশ তারা ওই পরিবারের সব সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছেন। জমিজমা ও সম্মত্তি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ওই পরিবারের মধ্যে আগে থেকেই একটি মামলা চলছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এসএ/জেআইএম
Advertisement