ফিচার

আর ওষুধ নয়, এবার রোগ সারাবে সাইকেল!

অসুস্থ হলেই আমরা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হই। চিকিৎসক দেখেশুনে একগাদা ওষুধ লিখে দেন। সাথে নানা রকমের পরীক্ষা-নিরীক্ষা। রোগে যতটা না কাবু হই, তার চেয়ে বেশি কাবু হই প্রেসক্রিপশন দেখে। তবে এবার আর ওষুধের নাম লিখছেন না চিকিৎসকরা। লিখে দিচ্ছেন অন্য কিছু।

Advertisement

চিকিৎসকরা এবার ওষুধের পরিবর্তে লিখে দিচ্ছেন—‘সাইকেল চালান’, ‘সাঁতার কাটুন’, ‘ব্যায়াম করুন’! এভাবে বিকল্প চিকিৎসার ফর্মুলার দিকে ঝুঁকছেন এলোপ্যাথিক চিকিৎসকরা। শুনতে অবাক লাগলেও ইংল্যান্ডের পারিবারিক চিকিৎসকরা রোগীদের সুস্থ রাখতে এমন কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন।

আরও পড়ুন > গরমে স্বস্তি আনে ঠান্ডা পানীয়

হয়তো অচিরেই বিশ্বের অন্যান্য দেশেও পৌঁছে যাবে এ ফর্মুলা। কেননা ইংল্যান্ডের ওয়েলসে এ নিয়ে শুরু হয়েছে একটি কর্মসূচি। কর্মসূচি হলো—রোগীদের সুস্থ রাখতে ওষুধের বিকল্প খোঁজা। যেমন প্রেসক্রিপশনে লিখে দেওয়া হচ্ছে—‘যান, সাইকেল চালান’। কার্ডিফের দুটি হাসপাতালে রোগীদের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফর্মুলা প্রয়োগ করা হচ্ছে।

Advertisement

শুধু তাই নয়, রোগীদের সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট করে বিনামূল্যে সাইকেল চালানোর জন্য গ্রাহকও করা হচ্ছে। চিকিৎসকরা মনে করেন, শুধু জীবন যাপনে একটু পরিবর্তন আনলেই অনেক ভালো থাকা যায়। কেন অযথা ওষুধ লিখতে হবে? জটিল কোন রোগ না হলে, শুধু জীবন যাপনের পরিবর্তন এনেই রোগ সারানো যায়।

আরও পড়ুন > বাড়ির থেকে অফিসেই ভালো থাকেন নারীরা!

এখন ভাবনার বিষয় হচ্ছে—বাংলাদেশে কি এ ধরনের ফর্মুলা সম্ভব? বাংলাদেশের কোন চিকিৎসক কি এ ফর্মুলা অনুসরণ করছেন? না-কি প্রেসক্রিপশনের মতো আইনি কাগজেই সাহস দেখাচ্ছেন তারা? তবে ভারতের চিকিৎসকরাও এ পথে হাঁটতে শুরু করেছেন।

ইংল্যান্ডের ওই প্রেসক্রিপশনকে অনেকেই অতি আধুনিক প্রেসক্রিপশন বলছেন। কারণ অনেক ক্ষেত্রে ওষুধ লেখারই প্রয়োজন নেই। বরং সকালে হাঁটুন, সাইকেল চালান, সাঁতার কাটুন, লিফট ছেড়ে সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করুন, কায়িক পরিশ্রম বাড়ান—এসব মানলেই ভালো কাজ হয়। ফলে অহেতুক ওষুধের পেছনে খরচ বাড়িয়ে লাভ কী?

Advertisement

এসইউ/জেআইএম