মতামত

ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন হবে তো?

এবারে ঈদের বেশ আগে থেকে সাধারণ মানুষসহ গণমাধ্যম যার অভাব সবচেয়ে বেশি অনুভব করেছে তিনি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। অসুস্থতার কারণে বিদেশ থাকায় এবার ঈদের আগের সময়গুলোতে সড়কপথে শারীরিকভাবে গেলো কয়েকবছরের মতো এবার তার তেমন তোড়জোড় ছিল না। না থাকারই কথা। এই তোড়জোড়ের কারণে মানুষ তাকে বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভালোবেসে ভারতীয় বাংলা ছবির নায়ক ‘ফাটাকেষ্ট’ বলে ডেকে থাকেন। কারণ বেশ কয়েকটি বিষয়ে মানুষ তড়িৎ সমাধান তার কাছ থেকে পেয়েছেন। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে প্রায় আড়াইমাস পর সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে এসে তিনি সাংবাদিকদের আশ্বস্ত করলেন, এবার ঈদযাত্রা হবে স্বস্তিদায়ক। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও আশ্বস্ত করলেন নিরাপদে নাগরিকরা ফিরবেন বাড়ি। রেলমন্ত্রী, নৌমন্ত্রী বললেন, কোনো সমস্যা হবে না।

Advertisement

মন্ত্রীরা বলছেন, আমলারা বলছেন, সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো বলছে, ঈদযাত্রা আনন্দদায়ক হবে। কিন্তু বাঙালি মন। ঘর পোড়া গরু। খুঁতখুতানিটা রয়েই যায়। গণমাধ্যমের ভাষায় বলা যায়, ঈদ যাত্রা মোটামুটি শুরু হয়ে গেছে। প্রকৃতপক্ষে ঈদ যাত্রার নির্দিষ্ট কোনো দিন-তারিখ নেই। বাস, ট্রেন বা লঞ্চে যেদিনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হয় সেদিন থেকেই একটা তোড়জোড় নাড়ির টানে গ্রামে প্রিয়জনের সান্নিধ্যে ঈদ উদযাপন করার। ভোগান্তির কথা চিন্তা করে পরিবার-পরিজনকে আগেই গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছেন অনেকে। এখন ঈদের আগের কয়েকটি দিন বেশ চাপ থাকবে সড়ক-নৌ-রেল ও আকাশপথে।

প্রধানমন্ত্রীর এবারের ঈদ উপহার ছিল দেশের গুরুত্বপূর্ণ ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেন মহাসড়কের দ্বিতীয় মেঘনা ও গোমতী সেতু চালু করা। এতে করে ঈদযাত্রার ভোগান্তি অনেকটাই কমেছে। খুশি এ পথের যাত্রী ও চালকরা। মহাসড়ক চাল লেনের হলেও সেতু দুই লেনের থাকায় যানজট থেকে মুক্তি মিলছিল না এতোদিন। এবার সেই বাধা কেটেছে। নির্ধারিত সময়ের আগে সেতু খুলে দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে গেলো মার্চে খুলে দেয়া হয় কাঁচপুর সেতু। এসবই স্বস্তির খবর। তবে অস্বস্তির দিকে একটু বেশিই নজর দিতে হবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে। ঈদ যাত্রায় এবারো সবচেয়ে বড় সমস্যার সৃষ্টি হবে বলে মনে করা হচ্ছে, ঢাকা-সাভার-নবীনগর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা মহাসড়কে। প্রতিবছরই এই সড়কের দীর্ঘ যানজট ও যাত্রীদের ভোগান্তির বিষয়টি সবারই জানা। এই সড়কের বেশিরভাগ এলাকায় রাস্তায় খারাপ, খানা খন্দে ভরা। এর মধ্যে বৃষ্টি হলেতো রক্ষা নেই।

বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল দেয়ার সময় এলেঙ্গা মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের শঙ্কা রয়েছে। এছাড়া এসব এলাকায় সড়কের উভয় পাশে অবৈধ স্থাপনা, বাজার, যেখানে সেখানে যানবাহন পাকিং করা, যাত্রীদের বাসের জন্য সড়কের ওপর অবস্থান করার কারণে স্বাভাবিক গতিতে যানবাহন চলাচল করতে পারে না। ঢাকা থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার সড়ক এই রুটের যাত্রীদের জন্য যেন গলার কাঁটা। বিআরটিএ প্রকল্প, সড়ক উন্নয়ন, সড়কের ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নের কাজ চলমান রয়েছে। ফলে রাস্তার বড় একটি অংশ ব্যবহারের অনুপযোগী। বিষয়টি স্বীকার করেছেন খোদ সড়ক পরিবহনমন্ত্রীও। আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় তিনি জানিয়েছেন, টঙ্গী থেকে গাজীপুর পর্যন্ত রাস্তায় কিছুটা সমস্যা হতে পারে। এ সমস্যা নিরসনে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রীকে সভাপতি করে একটি কমিটি করা হয়েছে।

Advertisement

এছাড়া সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে টঙ্গী থেকে গাজীপুর পর্যন্ত সড়কে তিনশ স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত থাকবে। তবে যানজট নিরসন ও জনভোগান্তি কমাতে সরকার যে আন্তরিক সেটা ইতোমধ্যে স্পষ্ট হয়েছে। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় ৯মে মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে ঈদযাত্রাকে সামনে রেখে ৩২টি পদক্ষেপ নিয়ে এগুনোর কথা জানিয়েছে। এখন সেগুলোর যথাযথ বাস্তবায়ন হলেই ফিরবে স্বস্তি। ৩২ দফার পদক্ষেপগুলোর মধ্যে রয়েছে, মহাসড়ক রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত, জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কগুলো যানজট মুক্ত রাখা, টার্মিনালগুলোয় শৃঙ্খলা রক্ষায় ভিজিলেন্স টিম গঠন, দুর্ঘটনার পর সড়কে যানজট নিয়ন্ত্রণ, সড়কে অস্থায়ী বা ভাসমান বাজার অপসারণ, মহাসড়কের অপব্যবহার বন্ধ করা, বিকল্প সড়ক ব্যবহার, যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং বন্ধ করা, নসিমন-করিমন, ইজিবাইক, থ্রি-হুইলার বন্ধ করা, টোল প্লাজার সব বুথ খোলা রাখা, ২২টি জাতীয় মহাসড়কে থ্রি-হুইলার বন্ধ রাখা, বিআরটিসির স্পেশাল সার্ভিস চালু করা, ফেরির সংখ্যা বৃদ্ধি, দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দ্রুত অপসারণের জন্য রেকার ও ক্রেন প্রস্তুত রাখা, অনভিজ্ঞ চালক দিয়ে মহাসড়কে গাড়ি না চালানো, পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মহাসড়কে পার্কিং করে লোড-অনলোড না করা।

এই দফাগুলো শুনলে যতোটা স্বস্তি লাগে সেটা আরো স্বস্তির হবে ঝটপট বাস্তবায়নে লেগে পড়লে। ইতোমধ্যে অবশ্য রাজধানীর বহির্গমন পথগুলোতে যানজট কমাতে সড়ক ও জনপদ বিভাগের পক্ষ থেকে চলছে বেশ জোরেসোরেই প্রস্তুতি। গেলো ১৫ দিন ধরেই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সড়কের ভাঙাচোরা স্থানে জোড়াতালির কাজ চলছে। সড়ক মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি ইতোমধ্যে যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে সরব রয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। তাদের প্রস্তাবনার সঙ্গে অবশ্য মন্ত্রণালয়ের পদক্ষেপগুলোর মিল থাকাতে মনে হচ্ছে সঠিক পথেই এগুচ্ছে সরকার। তবে দরকার সঠিক বাস্তবায়নও। যাত্রী কল্যাণ সমিতির প্রস্তাবনা গুলোর মধ্যে রয়েছে, জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়ক থেকে ফিটনেসবিহীন যানবাহন,নসিমন-করিমন, ইজিবাইক,অটোরিকশা,ব্যাটারি ও প্যাডেলচালিত রিকশার পাশাপাশি মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ করা।

মোটরসাইকেলে ঈদযাত্রা নিষিদ্ধ করা। গার্মেন্টস ও অন্যান্য শিল্প কলকারখানা রেশনিং পদ্ধতিতে ছুটির ব্যবস্থা করা। মহাসড়কের পাশে অস্থায়ী হাটবাজার উচ্ছেদ করা। দুর্ঘটনা প্রতিরোধে স্পিডগান ব্যবহার ও উল্টোপথের গাড়ি চলাচল বন্ধ করা। মহাসড়ক অবৈধ দখল ও পার্কিংমুক্ত করা। ঈদের আগে ও পরে সড়কে যানবাহন থামিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ করা। লাইসেন্সবিহীন ও অদক্ষ চালক নিষিদ্ধ করা। বিরতিহীন ও বিশ্রামহীনভাবে যানবাহন চালানো নিষিদ্ধ করা ইত্যাদি।

এবার আসা যাক রেলপথের যাত্রার বিষয়ে। রেলের অ্যাপ নিয়ে এবার যা হলো তা যেন বলার নয়। নানা ভোগান্তিতে নাজেহাল যাত্রীরা। কথা ছিল অ্যাপের মাধ্যমে পঞ্চাশ ভাগ টিকিট বিক্রি হবে। যাত্রীরা স্বস্তি পেয়েছিলেন। কিন্তু বাস্তবতা হলো উল্টো। নিন্মমানের অ্যাপ তৈরির কারণে সেখানে ঢোকাই দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। যাও কেউ কেউ ঢুকতে পেরেছেন তাদের কাছ থেকে দ্বিগুণ, তিনগুণ টাকা কাটার পরও টিকিট আসছে না, এলেও তা নির্ধারিত দিনের নয়।

Advertisement

এন্তার অভিযোগ। বিভিন্ন স্টেশন থেকে টিকিট দেয়ার ভালো উদ্যোগ নেয়া হলেও তাতে দেখা গেলো ভোগান্তি বেড়েছে। এই স্টেশন থেকে ওই স্টেশনে দৌড়াদৌড়ি। প্রতিবারের মতো কালোবাজারির বাগড়াতো রয়েছেই। সাধারণ যাত্রীরা হতাশ। ফলে টিকিট ছাড়া ট্রেনে যাত্রীর সংখ্যা বাড়ছে। মাইকিং করেও ঠেকানো যায় না ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ। এতে করে লাভবান হচ্ছে ট্রেনে থাকা অসাধু কর্মচারীরা। ওরা টাকার বিনিময়ে যাত্রী নিয়ে যাচ্ছে। সরকারের কোষাগারে কিছুই জমা হচ্ছে না।

নৌপথে সাধারণত নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চলের লোক যাতায়াত করেন। এরপরও অতিরিক্ত যাত্রী নেয়ার অভিযোগতো রয়েছেই। এছাড়া কেবিনের ভাড়া বাড়িয়ে প্রায় দ্বিগুণ করার অভিযোগও এসেছে। যদিও মালবাহী জাহাজ চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু মুশকিল হলো স্থানীয় প্রশাসন যদি কঠোর না হন তবে কারো কিছু করার নেই। আর দুর্নীতির কারণে ঈদের আগে আগে সবার পকেট ভরাতো চাই-ই!

এবার ঈদে ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলে প্রায় অর্ধকোটি মানুষ ঘরে ফিরবেন নদীপথে। ইতোমধ্যে তাই প্রস্তুত করা হয়েছে প্রায় ২৫০ যাত্রীবাহী লঞ্চ। তবে ঝড়ের মৌসুম ও অবৈধ মালবাহী জাহাজের কারণে ঈদে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে নৌপথ। পাশাপাশি সদরঘাটে লঞ্চের তুলনায় পন্টুন অনেক কম থাকায় যাত্রী ভোগান্তি বাড়তে পারে সামনে। এছাড়া যে সংবাদটি ভয়াবহ তা হলো, ঈদ উপলক্ষে ধারণক্ষমতার বাইরে নির্দিষ্ট আকারের থেকেও জোড়াতালি দিয়ে বড় করা হচ্ছে পুরনো লঞ্চগুলো। রাজধানীর অদূরের ডকইয়ার্ডগুলোতে লঞ্চ মেরামতের নামে দেদারসে চলছে এই অনিয়ম। এ বিষয়ে কঠোর হতে হবে এখনই। শুধু মুখে মুখে হুঁশিয়ারি দিলে চলবে না। কর্তৃপক্ষের নজরদারি না থাকলে ঝুঁকির মুখে পড়বে সাধারণ মানুষের জীবন।

আকাশপথে যারা নিয়মিত যাত্রী তাদের তেমন একটা অসুবিধা না হলেও কিন্তু ঈদের সময় বা অন্য কোনো কারণে যাদের ভ্রমণ করতে হয় তাদের গুণতে হয় বেশি ভাড়া। কারণ এদের বেশিরভাগই আগে টিকিট বুকিং করে রাখেন না। মওকা বুঝে আকাশপথে যাত্রীদের জন্য ভাড়া বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে তিনগুণেরও বেশি। এরই মধ্যে সব বিমানে অভ্যন্তরীণ রুটে একই ভাড়া নির্ধারণের যে প্রক্রিয়ার কথা শোনা যাচ্ছিল তা আলোর মুখ দেখবে বলে মনে হচ্ছে না, ফলে খেয়াল খুশিমতো ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিভিল এভিয়েশনের তদারকি না থাকায় খেয়াল খুশিমতো ভাড়া বাড়াচ্ছে এয়ারলাইন্সগুলো।

সবচেয়ে বড় কথা কেতাবি ভাষায় যদি বলি, নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা মানুষ স্বস্তি চায়। শান্তিতে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে চায়। দীর্ঘসময় স্বজনদের সান্নিধ্যহীন থাকা খেটে খাওয়া মানুষগুলো ফিরতে চায় আপন নীড়ে। সেই নিরাপদ বাড়ি ফেরাটা নিশ্চিত করতে হবে সরকারকে। ঈদে ঘরমুখী মানুষের ঢল মাত্র শুরু হলো। ইতোমধ্যে কিন্তু ফেরিঘাটগুলোতে প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। তবে এখন পর্যন্ত বড় ধরনের সম্যস্যা হয়তো হয়নি। সামনে আরো কয়েকদিন রয়েছে। বাসগুলো যাতে নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে সেজন্য ইতোমধ্যে অবশ্য আনসার, পুলিশ রাস্তায় নেমেছে। তাদের আরো তৎপর হতে হবে।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির প্রস্তাবনা গুলো মাথায় নিয়ে এগুনো যেতে পারে। ভালো যে কোনো পরামর্শ সাদরে গ্রহণ করা উচিত। সাথে ক্ষমতাসীন দলের স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীও নামানো যেতে পারে। তবে রাস্তায় যেন চাঁদাবাজি না নয়, কোনো গাড়ির কাছ থেকে টাকা নিয়ে যেন ফেরিতে আগে উঠতে দেয়া না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ঈদে ছুটি বাড়ানো যায় কিনা ভেবে দেখা যেতে পারে। তাহলে ফিরতি পথেও একসাথে চাপ পড়তো না। ফিটনেসবিহীন গাড়ি মেরামতের কারখানা, ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি, ডক ইয়ার্ড এর দিকে নজরদারি বাড়াতে হবে। ফিটনেস বিহীন গাড়িগুলো যাতে রাস্তায় নামতে না পারে সে বিষয়ে কঠোর হতে হবে। কারণ এগুলোই দুর্ঘটনার কারণ। অদক্ষ চালক যাতে গাড়ির স্টিয়ারিং এ থাকতে না পারে সেটা দেখভালের দায়িত্বও কিন্তু প্রশাসনের।

সবচেয়ে বড় কথা হাইওয়ে পুলিশ তৎপর থাকলে মহাসড়কে যাত্রী ভোগান্তি অনেকটাই কমবে। মহাসড়কে সংস্কার কাজ আপাতত কয়েকদিনের জন্য বন্ধ রাখা হবে এটি ভালো উদ্যোগ। ঈদের আগে পরে ভারী যানবাহন চলতে না দেয়ার উদ্যোগও ভালো। কিন্তু মনে রাখতে হবে প্রতিবছর এই বিষয়টি হয়, ঈদ এলেই ছোটাছুটি। মন্ত্রী ছুটেন, আমলা ছুটেন, কামলারাও ছুটেন। কেনো রে ভাই, প্রতিবছর এক তালে মেরামত করলেতো রাস্তা ঠিক না হয়ে থাকে না। নিন্মমানের কাজ করলে সড়ক বারবার ভাঙে। আবার জোড়াতালি দেয়া হয়, আবার সেটি ভাঙে। কিন্তু এভাবেতো টাকার শ্রাদ্ধ ছাড়া ঠেকসই সড়ক তৈরি হয় না। আর কে না জানে, ঠেকসই ও উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা ছাড়া উন্নয়শীল দেশ হওয়াও অসম্ভব। কারণ যে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা যতো উন্নত সে দেশের উন্নয়ত অগ্রগতিও ততোই ঠেকসই।

লেখক : সাংবাদিক ও সাহিত্যিক ।

এইচআর/জেআইএম