পাবনার ঈশ্বরদী থেকে মানব পাচারকারি দলের তিন সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার রাত সোয়া ৯টার দিকে ঈশ্বরদী খায়রুজ্জামান বাস টার্মিনাল থেকে এদেরকে আটক করা হয়। পুলিশ ধারণা করছে এরা আন্তর্জাতিক মানবপাচার চক্রের সদস্য। এ সময় তাদের কাছ থেকে আয়েশা নামে এক তরুণীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
Advertisement
জানা গেছে, আন্তর্জাতিক মানব পাচারকারী চক্রের ভারত-বাংলাদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান সমন্বয়কারী জয়িতা মান্না ওরফে পিউ ওরফে খাদিজা (৩৫), সানন্দা বিশ্বাস (২৭) ও বিশ্বজিৎ (৩২) টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার ধোপাকান্দি গ্রামের ব্যবসায়ী আখতারুজ্জামানের মেয়ে আয়েশাকে (১৭) পাচারের উদ্দেশ্যে ঈশ্বরদী হয়ে ভারত নিয়ে যাচ্ছে। টাঙ্গাইলের গোপালপুর সার্কেল অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমীর খোসরু ঈশ্বরদী থানার ওসি বাহাউদ্দিন ফারুকীকে এমনটিই জানান। এ সংবাদ পেয়ে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ অভিযানে নামে। এক পর্যায়ে বাস টার্মিনালে উল্লেখিত ৩ জনকে আটক এবং তাদের কাছ থেকে আয়েশাকে উদ্ধার করে।
আটক জয়ীতা ভারতের কোলকাতার বোসপুকুর পূর্ব পাড়ায় বসবাস করেন। তার স্বামীর নাম সুমন্ত মান্না। সানন্দার বাবার নাম মহানন্দ বিশ্বাস। তিনি কোলকাতার এইচআইজিএল ১/১ বিরাটি হাউজিং এস্টেটের বাসিন্দা এবং বিশ্বজিৎ ঈশ্বরদী স্কুলপাড়ার মৃত সুনিলের ছেলে।
ঈশ্বরদী থানায় উদ্ধারকৃত আয়েশা জানায়, প্রতিবেশী কবিরাজ আব্দুস ছাত্তারের বাড়িতে সম্প্রতি জয়িতার সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এই পরিচয়ের সূত্র ধরে উভয়ের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বেড়ে যায়। জয়িতা এক পর্যায়ে আয়েশাকে কোলকাতায় নায়িকা এবং মডেল বানানো এবং মোটা অংকের টাকা রোজগারের ব্যবস্থা করে দেয়ার লোভ দেখায়। আয়েশা তার কথায় প্রলুব্ধ হয়ে গোপনে তার সঙ্গে ভারতের উদ্দেশ্যে গত ২৮ মে টাঙ্গাইল থেকে রওনা দেয়। ঈশ্বরদী এসে বিশ্বজিতের বাড়িতে রাত্রী যাপন করে তারা।
Advertisement
এদিকে রাতেই ঈশ্বরদী থানা পুলিশ ভিকটিম ও আসামিদের গোপালপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। এ ব্যাপারে গোপালপুর থানায় প্রথমে জিডি এবং পরে মামলা করা হয়েছে। আয়েশাকে তার বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।
আলাউদ্দিন আহমেদ/এফএ/জেআইএম