জাতীয়

প্রধানমন্ত্রীর ঈদকার্ডে অটিস্টিক শিশুর আঁকা ছবি

এখন সময় বাংলাদেশের। এক নিবিড় উন্নয়ন ধারায় ভর করে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এগিয়ে যাচ্ছে এখানকার মানুষ। সামাজিক নিরাপত্তায় বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ায় ঈর্ষণীয় ভূমিকায়। বিশেষ করে শিক্ষা আর স্বাস্থ্যসেবায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে।

Advertisement

পরিবর্তন এসেছে প্রতিবন্ধী মানুষের ভাগ্যোন্নয়নেও। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে পাঠানো এবারের ঈদকার্ডটিও যেন সেই পরিবর্তনের ইঙ্গিত-ই দিচ্ছে। এবারের ঈদকার্ডে যে ছবি ছাপা হয়েছে, তা একজন অটিস্টিক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীর আঁকা ছবি।

আরও পড়ুন >> বাংলাদেশে নতুন সম্ভাবনা খুঁজতে জাপানিদের বললেন প্রধানমন্ত্রীপ্রতিবন্ধী শিশু মো. মুহতাসিম দিহানের আঁকা ছবিতেই কার্ডটির শোভা পেয়েছে। মসজিদ সদৃশ ছবিটিতে চারটি গম্বুজ রয়েছে। তাতে নানা রঙের নকশা। রঙিন কাগজ টানানো রয়েছে গম্বুজের মাথা থেকে। আসলে এটি একটি ঈদগাহ মাঠের প্রবেশদ্বার। দ্বারের সামনে দু’জন কোলাকুলি করছেন। আরেকজন শিশুর হাত ধরে সামনে এগুতে চাইছেন। যেন ঈদ আনন্দের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে ছবিতে।

গত কয়েক বছর ধরে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে পাঠানো ঈদকার্ডে ছাপানো ছবিগুলো সাধারণত বিশেষ শিশুদের আঁকা থেকে নেয়া। ছবিতে গ্রামীণ জনপদ, দেশীয় ঐতিহ্য অথবা ঈদের আনন্দবার্তা ফুটে ওঠে। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। প্রতিবন্ধী শিশুরাও যে মানুষ এবং আগামীর ভবিষ্যৎ, সে ব্যাপারে সচেতন করতেই এই প্রয়াস বলে মনে করা হয়।

Advertisement

আরও পড়ুন >> জনগণের হৃদয়ও জয় করতে বললেন প্রধানমন্ত্রীউল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তনয়া সায়মা ওয়াজেদ পতুল নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন অটিস্টিক প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য। তিনি ২০০৮ সাল থেকে শিশুদের অটিজম এবং স্নায়ুবিক জটিলতাসংক্রান্ত বিষয়ের ওপর কাজ করে আসছেন। স্বীকৃতি-স্বরূপ, বিশ্ব সংস্থা সংস্থা কর্তৃক ২০০৪ সালে হু অ্যাক্সিলেন্স পুরস্কারে ভূষিত হন। ২০১৩ সাল থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় মানসিক স্বাস্থ্যের বিশেষজ্ঞ পরামর্শক হিসেবে কাজ করছেন তিনি।

এই সময়ে বাংলাদেশে অটিস্টিক শিশুদের মাঝে শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবায় বিশেষ অগ্রগতিও হয়েছে।

এএসএস/বিএ

Advertisement