পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ‘উভয় রাষ্ট্রের (ভারত ও বাংলাদেশ) মধ্যে জনগণের চলাচল আরও সহজ করার জন্য আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কয়েকটি উদ্যোগ নিয়েছেন। আমরা সড়ক, রেল, নদী ও বিমান পথ – সবদিকই খুলে দিয়েছি। ভারতও খুলে দিয়েছে। সুতরাং আমাদের চলাচল আগের তুলনায় বেড়েছে।’
Advertisement
‘এটাকে আরও জোরদার করতে হবে। ফলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রারও (এসডিজি) লাভ হবে,’ যোগ করেন এম এ মান্নান।
গত সোমবার (২৭ মে) থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক কমিশনের (ইউএন-এসকাপ) সদর দফতরে ৭৫তম বার্ষিক অধিবেশনে যোগ দেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
সেখানে তৃতীয় দিনে বুধবার (২৯ মে) দুপুর ১টার দিকে ভারতীয়রা একটি সাইড ইভেন্টের আয়োজন করে। ওই কর্মসূচিতে ভারতীয়রা এসডিজি সম্পর্কে বক্তব্য তুলে ধরেন। এ সময় বাংলাদেশের এসডিজি সম্পর্কে বলতে গিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী ভারত ও বাংলাদেশের যোগাযোগ সহজ করার বিষয়টিও তুলে ধরেন।
Advertisement
ভারতীয়রা ছাড়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন ইউএনএসকাপের নির্বাহী পরিচালকসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা।
আলোচনা শেষে এর প্রধান বিষয়বস্তু তুলে ধরতে গিয়ে এম এ মান্নান বলেন, ‘আমি বলেছি, ভারত আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী রাষ্ট্র। প্রচুর বিষয়ে আমাদের মিল আছে। অমিলের চেয়ে মিলই বেশি। সুতরাং এসডিজিতে আমরা উভয়ই আগ্রহী। বিশেষ করে দারিদ্র্য দূরীকরণ, নিরক্ষরতা দূরীকরণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে আমরা একযোগে কাজ করতে পারি।’
ভারতীয়দের আশ্বাস দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে ভারতীয় যারা ছিলেন আমাদের সরকার তাদের সম্পূর্ণ আশ্বাস দিয়েছে। আশা করছি, এসডিজিসহ যেসব বিষয়ে আমরা চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে উভয় রাষ্ট্র কাজ করছি, আগামীতে আরও বেশি করে সহযোগিতা বৃদ্ধি পেতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘এসডিজি বাস্তবায়নে তারা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। দেখলাম, সেগুলো আমাদের সঙ্গে বেশ মিল আছে। আমি বলেছি, আমাদের যোগাযোগ ঘনিষ্ঠ থাকলে আমরা একে অপরের কাছ থেকে শিখতে পারব। উভয়েরই শিক্ষণীয় আছে।’
Advertisement
দুই দেশের সংস্কৃতির মিল রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘হাজার বছর আমাদের একটা অভিন্ন সাংস্কৃতিক পরিচয় ছিল। সেটার যে শক্তি আছে, সেটাকে ব্যবহার করে আমরা এসডিজি বাস্তবায়নে এগিয়ে যেতে পারি।’
পিডি/এনডিএস/জেআইএম