জাতীয়

শাহজালালে সেই শ্যামলের ১০ কোটি টাকার ঘড়ি জব্দ

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো হলের গোডাউনে এক ধারে পড়ে আছে ঘড়ি। কিন্তু রিসিভ করার মানুষ নেই। বিষয়টি জানার পর শুল্ক কর্তৃপক্ষ তদন্ত শুরু করে। তদন্তে করতে গিয়ে জানা গেলো চাঞ্চল্যকর তথ্য। সম্প্রতি আটক যুবলীগ নেতা বদরুল আলম শ্যামলই ওই ঘড়ির মালিক।কাস্টমস কমকর্তাদের মারধর ও ভাঙচুর করে ৫০ কোটি টাকার পণ্য লুট ও চোরাচালান সিন্ডিকেটে জড়িত থাকার অভিযোগে সম্প্রতি র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হন যুবলীগ নেতা বদরুল আলম শ্যামল।রোববার দুপুরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো গোডাউন থেকে ১০ কোটি টাকা মূল্যের ২৩ কার্টুনে আনা ৮ হাজার ৫শ’ ২৬ পিস স্মার্ট ঘড়ি জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর।শুল্ক গোয়েন্দা সদস্যরা বলছেন, জব্দকৃত ঘড়িগুলো চোরাইপথে একমাস আগে দুবাই থেকে একটি ফ্লাইটে করে এনে বিমানবন্দরের কার্গো গোডাউনে লুকিয়ে রাখা হয়। শুল্ক পরিশোধবিহীন ঘড়িগুলো সুযোগের অভাবে পাচার করতে পারেননি পাচারকারী চক্র। শুধু তাই নয় অবৈধপথে আনা ঘড়িগুলোর মালিক বিমানবন্দরের আলোচিত সেই যুবলীগ নেতা পরিচয়দানকারী বদরুল আলম ওরফে শ্যামল।শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের যুগ্ম পরিচালক শফিউর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, কাস্টমস কমকর্তাদের মারধর ও ভাঙচুর করে ৫০ কোটি টাকার পণ্য লুট ও চোরাচালান সিন্ডিকেটে জড়িত থাকার অভিযোগে শ্যামল ইতিমধ্যে র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হন। এরপর থেকে বিমানবন্দর এলাকায় শ্যামল ও তার বাহিনীর সদস্যদের আনাগোনা কমে যায়।তিনি বলেন, শ্যামলের মালিকানাধীন এসএমই কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে দুবাই থেকে এসব ঘড়ি আমদানি করা হয়। ঘড়িগুলো বিমানবন্দরের গোডাউনে নেয়ার পর এর আসল চালানপত্রটি গায়েব করে আমদানিকারকেরা।পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২৩ কার্টুন ঘড়ির চালান কুরিয়ারের স্টংরুমে সংরক্ষণ করা হয়। কিন্তু মাস পেরিয়ে গেলেও পণ্য খালাসে কেউ আবেদন করেননি। পরে শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা চালানটি খুলে দেখেন প্রত্যেকটি কার্টুনের গায়ে শ্যামলের মালিকানাধীন এসএমই কুরিয়ার সার্ভিসের নাম।শুল্ক গোয়েন্দা সূত্র জানায়, বদরুল আলম শ্যামলের নেতৃত্বে গত ১০ আগস্ট বিমানবন্দরে হামলা-ভাঙচুর ও পণ্য লুটের বিমানবন্দর থানায় মামলা হয়। মামলার পর শ্যামল ও তার বাহিনীর সদস্যরা আত্মগোপনে চলে যায়। কিন্তু এরমধ্যেই এসব ঘড়ি দুবাই থেকে শ্যামলের নিজস্ব এসএমই কুরিয়ার সার্ভিসে চলে আসে।শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের সহকারী কমিশনার আরজিনা খাতুন বলেন, শ্যামল গ্রেফতার হওয়ায় কেউ আর আতঙ্কে আসতে পারেননি পণ্য খালাস করতে। হামলার ঘটনায় জেলে রযেছে শ্যামল। নইলে হয়তা ঘড়ির চালানটি শ্যামল তার বাহিনী নিয়ে অন্যান্য সময়ের মতো কাস্টমস গোডাউনে গিয়ে সেখানকার কর্মকর্তাদের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক খালাস করতেন। এ ব্যাপারে একটি বিভাগীয় মামলা হয়েছে। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।## শাহজালালে সাড়ে ৮ হাজার ঘড়ি জব্দজেইউ/বিএ

Advertisement