জাতীয়

চাল রফতানি করলেই কৃষকের হাহাকার দূর হবে

আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, ‘মানুষের খাদ্যাভাস পরিবর্তন হয়েছে। এখন মানুষ শুধু ভাত খায় না। অনেকে রুটি ও ফাস্ট ফুডের ওপর নির্ভরশীল। সে কারণে চালের চাহিদাও আগের চেয়ে কমে গেছে।’

Advertisement

বেসরকারিভাবে মিল মালিকদের চাল রফতানির জন্য দ্রুত অনুমতি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, `বিদেশে স্থায়ীভাবে চালের বাজার খুঁজতে হবে। বিদেশে প্রতি বছর নিয়মিত চাল রফতানি করতে পারলেই কৃষকের হাহাকার দূর হবে।’

জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বুধবার দুপুরে বরেণ্য সংগীতশিল্পী সুবির নন্দীর স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।

বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সারাহ বেগম কবরী। প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। আরও উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের উপ দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, আওয়ামী লীগ নেতা কামাল চৌধুরী, বলরাম পোদ্দার, সুবির নন্দীর মেয়ে ফাল্গুনী নন্দী, অভিনেত্রী তারিন জাহান, এসডি রুবেল, দিনার জাহান মুন্নি, শিল্পী রফিকুল আলম, সিনিয়র সাংবাদিক মানিক লাল ঘোষ, আবদুল মতিন প্রধান ও মোতাসসিম বিল্লাহ।

Advertisement

অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমান সরকারের আমলে ধানের উৎপাদন বেড়েছে। এবার প্রায় ২০ থেকে ২৫ লাখ টন ধান বেশি উৎপাদন হয়েছে। কৃষকদের বাঁচানোর একমাত্র পথ চাল রফতানি করা।’

তিনি বলেন, ‘সরকারিভাবে চাল রফতানি করতে গেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতিসহ বিভিন্ন ঝামেলা পোহাতে হয়। আর বেসরকারি মিলাররা যখন চাল রফতানি করে তখন বেশি ঝামেলা নেই। সুতরাং এ বিষয়টি বেসরকারি মিলারদের হাতে ছেড়ে দেয়াই ভালো।’

এফএইচএস/এনডিএস/এমএস

Advertisement