বরিশাল নগরীর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পলাশপুর এলাকায় ৩৩ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের খুঁটি রেখেই চলছে ভবন নির্মাণ। এতে করে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে মাথা ব্যথা নেই ভবন মালিকের। ঝুঁকির বিষয়টি জেনেও তিনি কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। নির্মাণ শ্রমিকরাও ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন ভবনটিতে।
Advertisement
ভবনটির মালিক হাসান মোল্লা নামে এক ব্যক্তি। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো ) স্টেশন-২ এর দক্ষিণ দিকে সীমানা প্রাচীর সংলগ্ন হাসান মোল্লাসহ আরও কয়েকজনের জমি রয়েছে। খুঁটির মাধ্যমে বিদ্যুত স্টেশনটিতে ৩৩ হাজার ভোল্টের সঞ্চালন লাইন এসছে রূপাতলী থেকে। লাইন টানাতে প্রায় ২৭ বছর আগে হাসান মোল্লাসহ আরও কয়েকজনের জমিতে বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থাপন করা হয়। প্রায় ৪ মাস আগে হাসান মোল্লা তার জমিতে বহুতল ভবন নির্মাণ শুরু করেন। ভবনের ৭ থেকে ৮ ফুট ভিতরেও রাখা হয় ৩৩ হাজার ভোল্টের লাইনসহ বিদ্যুতের খুঁটি। এই খুঁটির উপরের অংশে বিদ্যুতের মেইন লাইন । বিদ্যুতের খুঁটি ভেতরে রেখেই হাসান মোল্লা নিচ তলার ছাদ ঢালাই করেন। এরপর একইভাবে ঢালাই করেন দুই তলার ছাদ। এতে যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা। যদি তার ছিঁড়ে পড়ে যায় তা হলে আর রক্ষা নেই। শুধু হাসান মোল্লা নয়, তার প্রতিবেশী শাহজাহান ফকিরের এক তলা টিনের ঘরের মধ্যে রয়েছে আরেকটি খুঁটি। ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে ওই পরিবারটি।
স্থানীয় আরও জানান, ভবন নির্মাণ শুরুর সময় হাসান মোল্লাকে বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে নিরাপদ দূরত্ব রেখে ভবন নির্মানের পরামর্শ দেয়া হয়। তবে হাসান মোল্লা কারো পরামর্শই শুনেননি।
Advertisement
ভবন মালিক হাসান মোল্লা বলেন, প্রায় চার তলা সমান উচু দিয়ে ৩৩ হাজার ভোল্টের সঞ্চালন লাইন গেছে। আমি মাত্র দুই তলা করেছি। এর বেশী উচু করার ইচ্ছে নেই। তাই দুর্ঘটনা ঘটার তেমন একটা আশঙ্কাও দেখছি না।
ভবন তৈরির সময় বিদ্যুৎ বিভাগকে খুঁটি সরিয়ে নিতে অনুরোধ করেছিলেন কি-না? এমন প্রশ্নের জবাবে হাসান মোল্লা জানান, সরকারি কোনো দফতরে কাজের জন্য গেলে শুধু ঘুরতে হয় । হয়রানির শিকার হতে হয়। হয়রানির কথা ভেবেই বিদ্যুৎ বিভাগকে কিছু জানানো হয়নি।
ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো ) স্টেশন-২ এর সহকারী প্রকৌশলী উৎপল চন্দ্র দে জাগো নিউজকে বলেন, আমরা বিষয়টি জানার পর গত ২৩ মে মালিক পক্ষকে নোটিশ দিয়েছি। এ চিঠির অনুলিপি আমরা বরিশাল সিটি কর্পোরেশনকেও দিয়েছি। চিঠিতে খুঁটি থেকে নিরাপদ দূরত্ব রেখে অথবা নির্মিত ভবনের অংশ ভেঙে নিরাপদ দূরত্ব রাখতে বলা হয়েছে। নির্মিত ভবনের অংশ ভেঙে নিরাপদ দূরত্ব তৈরি না করলে ওই ভবন মালিকে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সাইফ আমীন/আরএআর/এমকেএইচ
Advertisement