নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় আনলে এই মুহূর্তে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে অনিরাপদ দেশ পাকিস্তান। নির্বিবাদে মানুষ হত্যা, বোমাবাজি, জঙ্গিদের আত্মঘাতী হামলা প্রায় নিত্যদিনকার ঘটনা। জঙ্গি ও সন্ত্রাসী হামলায় শুধু পাকিস্তানিরাই নয়, ভিনদেশিরাও নিরাপদ নয়। লাহোরে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের উপর হামলার কথা এখনো ক্রিকেট অনুরাগীদের মনকে ভীষণভাবে নাড়া দেয়।
Advertisement
এ ছাড়া আত্মঘাতী বোমা হামলায় প্রায়-ই প্রাণহানি ঘটছে পেশোয়ার, সোয়াদ, করাচি, লাহোরসহ পাকিস্তানের বড় বড় শহরগুলোয়। এমনকি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানেও বোমাবাজিতে প্রাণ নাশের ঘটনা প্রচুর। মোদ্দাকথা পাকিস্তান জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য। সে কারণেই প্রায় ১০ বছর পাকিস্তানে কোনো ভিনদেশি দল খেলতে যায় না। পাকিস্তানের মাটিতে কোনো সিরিজ কিংবা টুর্নামেন্টও অনুষ্ঠিত হয় না।
কিন্তু অবাক করা খবর, দীর্ঘদিন পর সেই জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য পাকিস্তান এশিয়া কাপের আয়োজক হতে চায়। শুধু চায় বলা কম হয়ে গেল ২০২০ সালের এশিয়া কাপের আয়োজক দেশ হতে যাচ্ছে পাকিস্তান। সিঙ্গাপুরে বসা এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) সভা শেষে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এসিসির সভায় পাকিস্তানের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) চেয়ারম্যান এহসান মনি এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর ওয়াসিম খান। সভা শেষে পাকিস্তানের এক মুখপাত্র জানান, পাকিস্তানের কোন কোন শহরে ম্যাচগুলো আয়োজিত হবে তা এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি। তবে অতি দ্রুতই এ বিষয়ে জানানো হবে। সভায় উপস্থিত ছিল বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের প্রতিনিধিরাও। আর সকলের সম্মতিক্রমেই পাকিস্তানে এশিয়া কাপ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানিয়েছে পিসিবি। যদিও ভারত অধ্যুষিত কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তানে আয়োজিত এশিয়া কাপে ভারত অংশ নেবে কি না সেটি পড়ে গেছে বড় এক প্রশ্নের উপর। উল্লেখ্য, পাকিস্তানে সবশেষ এশিয়া কাপের আসর বসে ২০০৮ সালে। সেটি ছিল ওয়ানডে ফরম্যাটে। এদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২০১৮ সালের এশিয়া কাপ ওয়ানডে ফরম্যাটে হলেও ২০২০ এশিয়া হবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের আদলে।
Advertisement
এআরবি/এসএস/পিআর