পাকিস্তানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে এক হিন্দু পশু চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননা বা ব্লাসফেমি আইনের অধীনে অভিযোগ আনা হয়েছে। ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ইসলাম ধর্মের বাণী সম্বলিত একটি কাগজে মুড়িয়ে রোগীর কাছে ওষুধ বিক্রি করেছেন।
Advertisement
তবে ওষুধ মোড়ানোর কাজে কাগজটি ব্যবহার করা তার ভুল হয়েছে বলে স্বীকার করেন ওই চিকিৎসক। চিকিৎসকের ভাষ্য, তিনি যে কাগজটি ব্যবহার করেছিলেন, সেটি স্কুলের ইসলাম শিক্ষা বইয়ের একটি পাতা ছিল।
এদিকে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি হতে পারে। কারণ, পাকিস্তানে ধর্ম অবমাননা বা ব্লাসফেমি আইন অনুযায়ী, ইসলাম ধর্মকে অপমানকারী ব্যক্তিদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়। তবে সমালোচকদের মতে, এই আইনে ধর্মীয়ভাবে সংখ্যালঘুদের অভিযুক্ত হওয়ার হার অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে বেশি।
বিবিসি বাংলার এ প্রতিবেদনে বলা হয়, স্কুলের ইসলাম শিক্ষা বইয়ের একটি পাতা মুড়িয়ে একজন গ্রাহককে গবাদি পশুর জন্য ওষুধ দেন ওই চিকিৎসক। কিন্তু গ্রাহক ধর্মীয় লেখা দেখে সে প্যাকেটটি নিয়ে স্থানীয় ধর্মীয় নেতার কাছে গেলে তিনি পুলিশকে খবর দেন।
Advertisement
স্থানীয় সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, এ ঘটনার পর চিকিৎসকের ক্লিনিকসহ চারটি স্থানীয় দোকান লুট করার পর সেখানে অগ্নি সংযোগ করা হয়েছে। মিরপুর খাস এলাকার পুলিশ কর্মকর্তা জাভেদ ইকবাল জানান, যারা দোকানে আগুন দিয়েছে এবং লুটের সাথে জড়িত ছিলেন তাদের গ্রেফতার করা হবে।
উল্লেখ্য, গত কয়েক দশকে কয়েকশ পাকিস্তানি নাগরিককে এই কঠোর ব্লাসফেমি আইনের অধীনে অভিযুক্ত করা হয়েছে এবং সেগুলোর মধ্যে কয়েকটি ঘটনা আন্তর্জাতিক পর্যায়েও ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
আরএস/পিআর
Advertisement