মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন চলতি সপ্তাহে সংযুক্ত আমিরাত সফরে যাবেন। আবু ধাবিতে অবস্থিত মার্কিন দূতবাস সোমবার বিভিন্ন সাংবাদিকদের বোল্টনের সঙ্গে গোল টেবিল বৈঠকে যোগ দিতে চিঠির মাধ্যমে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
Advertisement
আমিরাতভিত্তিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, মার্কিন দূতাবাস বোল্টনের সফরের কথা জানালেও ঠিক কত তারিখে তিনি আমিরাত পৌঁছাবেন তা নিয়ে নির্দিষ্ট কোনো তারিখ জানায়নি। ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব এবং আমিরাতের সঙ্গে যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে বোল্টনের এই সফর।
প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়েছে, ইরানকে কিভাবে মোকাবিলা করা যায় তা নিয়ে সৌদি আরবে এই তিন দেশ বৈঠকে মিলিত হবে। সেই বৈঠক নিয়ে আলোচনা করতেই নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনকে আমিরাতে পাঠিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
ইরানের সঙ্গে করা ছয় জাতির পারমাণবিক কর্মসূচি বিষয়ক চুক্তি থেকে গত বছর যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ২০১৫ সালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার শাসনামলে নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ সদস্যরাষ্ট্রসহ জার্মানি চুক্তিটিতে স্বাক্ষর করে।
Advertisement
আরও পড়ুন>> যুদ্ধের আশঙ্কা, মক্কায় জরুরি বৈঠক ডেকেছে সৌদি
আগামী বৃহস্পতি ও শুক্রবার সৌদি আরবের মক্কায় তিন দেশ বৈঠক বসবে। আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও উন্নয়ন নিয়ে রিয়াদের আহ্বানেই এই বৈঠক। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরানে হামলা করা হবে কি না তা নিয়ে আলোচনা করতেই যুক্তরাষ্ট্রের এমন উদ্যোগ।
সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা ও ‘স্বার্থের’ ওপর হামলা করবে ইরান এমন গোয়েন্দা তথ্যের বরাত দিয়ে বোল্টনের পরামর্শে মধ্যপ্রাচ্যে অতিরিক্ত সেনা পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া বিমানবাহী রণতরি, নতুন প্রযুক্তির প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র এবং বোমারু বিমানও পাঠিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
তবে ইরানের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের এমন গোয়েন্দা তথ্যকে বানোয়াট বলে অভিহিত করা হচ্ছে। তেহরান বলছে, গোয়েন্দা তথ্যের বরাত দিয়ে এর আগে ইরাকে হামলা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এবারও তারা সেই পদ্ধতি অবলম্বন করতে চায়। কিন্তু ইরানও সমুচিত জবাব দিতে প্রস্তুত।
Advertisement
প্রসঙ্গত, ইরাকে হামলার জন্য তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশকে পরামর্শ দিয়েছিলেন জন ট্রাম্পের নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন। ইরানে হামলার জন্য বোল্টন ট্রাম্পকেও সেরকম পরামর্শ দেবেন কিনা তারই আশঙ্কা করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।
এসএ/এমএস