জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, নব্বইয়ের পর থেকে ঘাত-প্রতিঘাত ও ষড়যন্ত্র জাতীয় পার্টির নিত্যসঙ্গী। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কারণেই পার্টি আজও টিকে রয়েছে। পার্টির অস্তিত্ব রক্ষায় এরশাদকে অনেক সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
Advertisement
রাজধানীর শ্যামপুর বালুর মাঠে মঙ্গলবার ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার মাহফিলের আগে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, জাতীয় পার্টি সবসময় ঝড়েকবলিত নৌকার মতো। ঘরে-বাইরে সবসময় সংগ্রাম করে চলছে। একটার পর একটা বৈরী ও প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবেলা করে চলতে হচ্ছে। ক্ষমতা হস্তান্তরের পর থেকে জাতীয় পার্টি কখনই স্বাধীনভাবে রাজনীতি করতে পারেনি। তাই পার্টি টিকিয়ে রাখার স্বার্থে, যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে টিকে থাকার জন্য এরশাদকে বিভিন্ন সময় সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের জন্যই জাতীয় পার্টি অনেক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।
সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এমরান হোসেন মিয়া, পুলিশের উপ-কমিশনার এম ফরিদ উদ্দীন, আওয়ামী লীগ নেতা ড. আওলাদ হোসেন, তোফাজ্জল হোসেন, কাউন্সিলর নাসিম মিয়া, নাসির উদ্দিন ভূঁইয়া, জাপা নেতা আমিরুল উদ্দিন ডালু, কেন্দ্রীয় নেতা শেখ মাসুক রহমান, সুজন দে, মাহবুবুর রহমান খসরু, কাউন্সিলর সুলতানা আহমেদ লিপি প্রমুখ।
Advertisement
প্রসঙ্গত, ক্ষণে ক্ষণে মত বদলের জন্য আলোচিত জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। ছোট ভাই জিএম কাদেরকে দলের কো-চেয়ারম্যান পদে পুনর্বহালের দুদিন পর ফের উত্তরসূরি ঘোষণা করেন।
এমন আরও অনেক ঘটনার জন্ম দেয়া ৯০ বছর বয়সী এ রাজনীতিবিদ সম্প্রতি তার সব স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি নিজের গড়া ট্রাস্টে দান করেন। দান করা সম্পত্তির আনুমানিক মূল্য ৬০-৭০ কোটি টাকা। এর মধ্যে রয়েছে- বারিধারার প্রেসিডেন্ট পার্কের বাসা, গুলশানের দুটি ফ্ল্যাট, বাংলামটরের দোকান, রংপুরের কোল্ড স্টোরেজ, পল্লী নিবাস, রংপুরে জাতীয় পার্টির কার্যালয়, ১০ কোটি টাকার ব্যাংক ফিক্সড ডিপোজিট।
এইউএ/এমএআর/জেআইএম
Advertisement