দেশে মাতৃমৃত্যু হার কমলেও তা কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় নয়। ২০১৭ সালে প্রতি লাখ জীবিত শিশু জম্মদানকালে ১৭৬ জন মায়ের মৃত্যু হলেও বর্তমানে তা হ্রাস পেয়ে ১৭২ জনে নেমেছে।
Advertisement
এমনই এক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার বাংলাদেশ নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস-২০১৯ পালিত হয়। এ বছর দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল ‘মর্যাদা ও অধিকার, স্বাস্থ্যসেবায়, প্রসূতি সেবায় অঙ্গীকার’।
আরও পড়ুন > প্রসূতির মৃত্যু, স্বজনরা দায়ী করছে ডাক্তারকে
‘নানা পদক্ষেপ গ্রহণের পরও কেন বাংলাদেশে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় মাতৃমৃত্যু হার রোধ করা যায়নি,’ আজ সচিবালয়ে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস উপলক্ষে এক প্রেস বিফ্রিংয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, মাতৃমৃত্যু রোধের বিষয়টি শুধু স্বাস্থ্যসেবার সঙ্গে জড়িত নয়। এটি একটি মাল্টি সেক্টরাল অ্যাপ্রোচ। দারিদ্র্যতা, অপুষ্টি, বাল্যবিবাহ, সুষম খাদ্য ও প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রসবের বিষয়টি অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ছাড়াও অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও সংস্থা এসবের সঙ্গে জড়িত। শুধু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একক প্রচেষ্টায় মাতৃমৃত্যু কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রায় নামিয়ে আনা সম্ভব নয়।
Advertisement
আরও পড়ুন > বগুড়ায় ভুল অপারেশনে প্রসূতির মৃত্যু
কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় মাতৃমৃত্যু হার না কমলেও ৯০ দশকের তুলনায় এ সংখ্যা বহুলাংশেই কমেছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৯০ সালে যেখানে প্রতি লাখ জীবিত শিশু জন্ম দিতে গিয়ে ৫৯৪ জন মা মারা যেতেন, সে সংখ্যা বর্তমানে কমে ১৭২ জনে এসে দাঁড়িয়েছে।
তিনি জানান, নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করতে মানসন্মত গর্ভকালীন সেবা (প্রসবপূর্ব), নিরাপদ প্রসব ব্যবস্থা, জরুরি প্রসূতি সেবা, প্রসব-পরবর্তী সেবা ও প্রসব-পরবর্তী পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি এবং সেবা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করে দেশব্যাপী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এমইউ/জেডএ/জেআইএম
Advertisement