জাতীয়

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় দফা ভর্তি পরীক্ষা চান শিক্ষার্থীরা

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় দফায় ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। দাবি মেনে নেয়া না হলে ঈদের পর কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন তারা। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্রাব) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ হুমকি দেয়া হয়।

Advertisement

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নাহিদ ভূঁইয়া নামে এক শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, ‘এইচএসসি পাস করার পর অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন থাকে দেশের প্রথম সারির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া। অনেক সময় শারীরিক অসুস্থতা, পারিবারিক সমস্যা, সময়মতো কেন্দ্রে উপস্থিত হতে না পারাসহ বিভিন্ন সমস্যার কারণে প্রথম ধাপে ভর্তি পরীক্ষায় আশানুরূপ ফল আসে না।’

তিনি বলেন, ‘প্রথম ধাপের পরীক্ষায় ব্যর্থ অনেকে দ্বিতীয় দফায় পরীক্ষা দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সুযোগ পেয়েছেন। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্বদ্যিালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয় বার ভর্তি পরীক্ষার রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। এ কারণে আমরা অনেকে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিলেও এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় দফায় ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছি না।’

শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘দেশে ৪১টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় দফায় ভর্তি পরীক্ষা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বাকিগুলোতে এ সুযোগ রয়েছে। এতে করে পাবলিক বিশ্বদ্যিালয়গুলোর মধ্যে এক ধরনের বৈষম্য সৃষ্টি হচ্ছে। অনেকের যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও প্রথম সারির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।’

Advertisement

সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় ধাপে ভর্তি পরীক্ষা চালুর দাবিতে চার দফা প্রস্তাব দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় ধাপে ভর্তি পরীক্ষা চালুর দাবিতে চার দফা প্রস্তাব দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এসব প্রস্তাবের মধ্যে দ্বিতীয় বার ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি বেশি নেয়ার সুযোগ থাকায় তাদের ২ বা ৩ নম্বর কর্তন করে সমতা আনা যেতে পারে; যারা ঢাবিতে অধ্যয়নরত রয়েছেন তাদের দ্বিতীয় বার ভর্তি সুযোগ থাকবে না, কারণ তারা ভালো বিষয় পেলে তখন তুলনামূলক কম ভালো বিষয়ের আসন ফাঁকা থাকবে অন্যতম।

এমএইচএম/এসআর/এমকেএইচ