আইন-আদালত

সম্রাট হোটেলে দুই শিক্ষার্থীর মরদেহ : মালিকের বিরুদ্ধে মামলা

রাজধানীর ফার্মগেটের সম্রাট হোটেলে দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় হোটেল মালিক জসিম উদ্দিন চৌধুরী কচিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ১৪ মে মামলাটি করেন নিহত মরিয়ম চৌধুরীর বাবা মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী।

Advertisement

এ বিষয়ে সোমবার (২৭ মে) ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে আগামী ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলায় হোটেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাসেল আহমেদ সুমন লিটন ও তত্ত্বাবধায়ক আহম্মেদ হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা অনেককে আসামি করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগে মরিয়মের বাবা মোস্তাক আহমেদ বলেন, আমার মেয়ে মরিয়ম চৌধুরী ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির প্রথম বর্ষের ছাত্রী। সে জিগাতলায় একটি হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করত। গত ২ এপ্রিল তার খোঁজ নেয়ার জন্য ফোন দিলে তেজগাঁও থানা পুলিশ ফোন রিসিভ করে এবং বলে একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এরপর আমাকে থানায় আসতে বলে। পরে থানায় এসে দেখি একটি ভ্যানের ওপর দুটি মৃতদেহ পড়ে আছে। পুলিশকে জিজ্ঞেস করলে পুলিশ বলে আপনার মেয়ের মরদেহ সম্রাট হোটেলের ৮০৮ নং কক্ষে পাওয়া গেছে। পাশের খাটে আরও একটি মরদেহ ছিল। আপনার মেয়ে যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট খেয়ে মৃত্যুবরণ করেছে।

Advertisement

তিনি বলেন, পরবর্তী সময়ে পুলিশকে বলি মরদেহটি ময়নাতদন্ত করতে। কিন্তু পুলিশ কোনোভাবে ময়নাতদন্ত করতে রাজি হয়নি। পুলিশ আমাকে বলে- ময়নাতদন্তের প্রয়োজন নেই। আপনার মেয়ের মরদেহ দ্রুত নিয়ে যান। পারলে ঢাকায় কবর দিয়ে দেন। এ কথা শোনার পর আমি সম্রাট হোটেলে যাই। সেখানে হোটেলের রেজিস্ট্রি বইতে দেখতে পাই যে, আমার মেয়ে ও একই রুমে পড়ে থাকা অপর মরদেহটি গত ১ এপ্রিল স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে হোটেলে ওঠে। কিন্তু এ কথা বিশ্বাস করিনি।

মোস্তাক আরও বলেন, আমার মেয়ের সঙ্গে কারও সম্পর্ক নেই। এ হোটেলের মালিক ও তার সহযোগীরা পরিকল্পিতভাবে আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। হোটেলের সমস্ত সিসি ক্যামেরা পুলিশের হেফাজতে আছে। এরপর পুলিশকে জানাই এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা। মামলা নেয়ার জন্য পুলিশকে বললেও তারা মামলা নেয়নি।

জেএ/বিএ/এসএইচএস/জেআইএম

Advertisement