আইন-আদালত

মালিবাগে পুলিশের গাড়িতে বিস্ফোরণ : প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ

রাজধানীর মালিবাগে পুলিশের গাড়িতে বোমা হামলার ঘটনায় বিস্ফোরক ও সন্ত্রাস দমন আইনে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারী মামলার এজাহার গ্রহণ করে আগামী ১১ জুলাই প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

Advertisement

আদালতের পল্টন থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক জালাল উদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে রোববার রাতেই অজ্ঞাতদের আসামি করে পুলিশ বাদী হয়ে পল্টন থানায় এ মামলা করে (মামলা নং ৪৬)। পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সৈয়দ আলীকে মামলা তদন্তের দায়িত্বে দেয়া হয়েছে।

রোববার (২৬ মে) রাত ৯টায় রাজধানীর মালিবাগ মোড়ে সিএনজি পাম্পের বিপরীতে ফ্লাইওভারের নিচে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশের গাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক পূর্ব (সবুজবাগ) বিভাগের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রাশেদা খাতুন, রিকশাচালক লাল মিয়া এবং আরেক পথচারী আহত হন।

রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘মালিবাগে পুলিশের গাড়িতে বিস্ফোরক ছুড়ে মারা হয়েছিল নাকি পরিকল্পিত হামলা তা তদন্ত করে দেখা হবে।’

Advertisement

তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না। ঘটনাস্থলে আমাদের বম্ব ডিসপোজাল ইউনিট কাজ করছে, বিস্তারিত দেখার পর এক্সপার্টরা বলতে পারবে আসলে বিস্ফোরকটি ছুড়ে মারা হয়েছিল নাকি পূর্বপরিকল্পিত ছিল।’

অপরদিকে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া সোমবার (২৭ মে) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আহত রিকশাচালক লাল মিয়াকে দেখার পর সাংবাদিকদের বলেন, ‘একটি স্বার্থান্বেষী মহল জনমনে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য এ ধরনের অপতৎপরতা চালাচ্ছে। যে বোমার বিস্ফোরণ ঘটেছে এটি সাধারণ ককটেলের চাইতে শক্তিশালী। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বোমাটি গাড়িতে পেতে রাখা হয়েছিল।’

হামলাকারীদের বিষয়ে ডিএমপি প্রধান বলেন, ‘কাউন্টার টেরোরিজম, ডিবি, সিআইডি ঘটনাস্থলে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছে। কারা, কী উদ্দেশ্যে এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এটি কী ধরনের বিস্ফোরক তা কাউন্টার টেরোরিজমের বম্ব ডিসপোজাল ইউনিট খতিয়ে দেখছে।’

তিনি বলেন, এটি পুলিশকে টার্গেট করা হয়েছে নাকি অন্য কোনো লক্ষ্যে করা হয়েছে তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

জেএ/এমআরএম/পিআর