প্রতি বছর ঈদের সময়ে একদল প্রতারক জাল নোটের বাজার গরম করে তুলে। দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে দেয় জাল নোট। এই জাল নোট চারটি ধাপে গ্রাহকের কাছে আসে। শেষ ধাপে জাল নোটের মূল্য আসল টাকার সমান হয়ে যায়।
Advertisement
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা উত্তর বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান বলছিলেন, গতকাল জালনোট চক্রের সাতজনকে গ্রেফতার করার পর জানা গেল এই চার ধাপের কথা।
চক্রটি প্রথমে পাইকারী বিক্রেতার কাছে প্রতি লাখ টাকার জাল নোটের বান্ডিল বিক্রি করে ১৪-১৫ হাজার টাকায়। পাইকারি বিক্রেতা প্রথম খুচরা বিক্রেতার কাছে তা বিক্রি করে ২০-২৫ হাজার টাকায়। প্রথম খুচরা বিক্রেতা দ্বিতীয় খুচরা বিক্রেতার কাছে প্রতি লাখ জাল টাকা বিক্রি করে ৪০-৪৫ হাজার টাকায়। দ্বিতীয় খুচরা বিক্রেতার হাত ধরে এই জাল নোটের মূল্য হয়ে যায় আসল টাকার সমান।
চক্রটির মাঠপর্যায়ের কর্মীরা বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস ক্রয় করে জাল টাকা বাজারজাত করতো। গতকাল রাজধানীর মতিঝিলে ৩০ লাখ টাকার জাল নোটসহ ওই চক্রের সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন- মো. শাহীন (৩৭), মোছা. মাহিনুর বেগম (২৬), মো. আলী (৩৫), রিয়ান নাজিম (২৭), আব্দুস সামাদ (৪৫), আব্দুল করিম (৬০) ও মো. রাসেল (২০)।
Advertisement
রোববার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মতিঝিল থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর বিভাগের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও প্রতিরোধ টিম।
মশিউর রহমান জানান, চক্রটি আসন্ন ঈদ-উল-ফিতরকে সামনে রেখে বিভিন্ন শপিংমল ও মার্কেটে জাল টাকা বাজারজাত করার পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছিল। গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। জাল টাকা উদ্ধারে তাদের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় মামলা করা হয়েছে।
জেইউ/জেডএ/এমকেএইচ
Advertisement