লিটার প্রতি অকটেনের আমদানি মূল্য ৬৮.৬৯ টাকা হলেও দেশে তা বিক্রি হচ্ছে ৯৯ টাকায়। অর্থাৎ প্রতি লিটার অকটেন আমদানি মূল্যের থেকে ৩০ টাকা ৩১ পয়সা বেশি নেয়া হচ্ছে। রোববার জাতীয় সংসদে বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের দেয়া তথ্যে এ বিষয়টি জানা যায়। মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর (চট্টগ্রাম-১৬) এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।নসরুল হামিদ সংসদে জানান, প্রতি লিটার ডিজেলের আমদানি মূল্য ৫০ টাকা ৬৭ পয়সা যা বিক্রি করা হয় ১৭ টাকা ৩৩ পয়সা বেশি দামে। এছাড়া কেরোসিনের আমদানি মূল্য ৫১ টাকা ৪ পয়সা এবং বিক্রয় মূল্য ৬৮ টাকা। ফার্নেস অয়েলের আমদানি মূল্য ৩৮ টাকা ৪৪ পয়সা এবং বিক্রয় মূল্য ৬০ টাকা এবং জেটএ-১ এর আমদানি মূল্য ৫০ টাকা ৬১ পয়সা হলেও এটি বিক্রি করা হচ্ছে ৬৭ টাকা।একই প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে গ্যাসের বার্ষিক চাহিদা এক হাজার ৭৬ বিসিএফ। এর বিপরীতে দৈনিক কমবেশি দুই হাজার সাতশ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন ও সরবরাহ করা হয়। তিনি আরো জানান, গ্যাস উৎপাদক সংস্থাগুলোর মধ্যে বিজিএফসিএলের উৎপাদন খরচ প্রতি হাজার ঘনফুট ১২ টাকা, এসজিএফএলের ছয় দশমিক ৪৩ টাকা এবং বাপেক্সের আনুমানিক এক শ’ টাকা। অপরদিকে দেশে গ্যাস উৎপাদনের কাজে নিয়োজিত আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানি শেভরনের কাছ থেকে প্রতি হাজার ঘনফুট গ্যাস দুই দশমিক সাত শ’ ৬২ মার্কিন ডলার এবং টাল্লো/ক্রিস এনার্জির কাছ থেকে দুই দশমিক তিন শ’ ১৬ মার্কিন ডলারে কেনা হয়।এ কে এম রহমতুল্লাহ (ঢাকা-১১) এর অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অতীতে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের মূল্য বৃদ্ধি পেলেও আমরা জনগণের কথা চিন্তা করে দাম বাড়াইনি। আর অদূর ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে এ আশঙ্কায় এবারে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কিছুটা কমলেও দেশীয় বাজারে জ্বালানীর দাম কমানো হয়নি।এইচএস/এএইচ/আরআইপি
Advertisement