পাঠাও চালক ইসমাইল হোসেন জিসান (২৪) খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নোমান নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
Advertisement
নিহত জিসান বেসরকারি ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র ছিলেন। পড়াশোনার ফাঁকে তিনি রাইড শেয়ারিং সার্ভিস পাঠাওয়ের মোটরসাইকেল চালাতেন।
সোমবার (২৭ মে) শেরেবাংলা নগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ জানান, জিসান হত্যা মামলার অন্যতম আসামি নোমানকে রোববার রাতে রাজধানীর দারুসসালাম এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে এ মামলার মূল আসামি হাসিবুল ইসলামকেও গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনার সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত থাকতে পারে, তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সুজানুর ইসলাম বলেন, পাঠাও চালক জিসান খুনে জড়িত থাকার অভিযোগে এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন- হাসিবুল, তার স্ত্রী সজনি এবং হাসিবুলের বন্ধু শাওন। সর্বশেষ নোমানকে গ্রেফতার করা হলো।
Advertisement
মোটরসাইকেল নেয়ার জন্যই পাঠাও চালক ইসমাইল হোসেন জিসানকে হত্যা করা হয় বলে হত্যার দায় স্বীকার করে ঢাকার আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন প্রধান আসামি হাসিবুল হোসেন। জবানবন্দিতে হাসিবুল জানান, তিনি তার দুই বন্ধুকে নিয়ে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী, ইসমাইলকে বাসায় নিয়ে হত্যা করেন তারা।
উল্লেখ্য, নিহত ইসমাইল রাজধানীর শ্যামলীর ২ নম্বর রোডে বন্ধুর সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন। তিনি গাজীপুর জেলার গাছা থানার কাথোরা গ্রামের সাব্বির হোসেন শহীদের ছেলে।
১২ মের পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। ২৩ মে গাজীপুরের গাছা ইউনিয়নের কামারজুরি এলাকার মধ্যপাড়ার একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে ইসমাইল হোসেন জিসানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ইসমাইলের বাবা বাদী হয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় হত্যা মামলা করেন।
জেইউ/জেডএ/এমকেএইচ
Advertisement