জাতীয়

মালিবাগে বিস্ফোরিত বোমা সাধারণ ককটেল থেকে শক্তিশালী ছিল

রাজধানীর মালিবাগে পুলিশের গাড়িতে বিস্ফোরিত বোমাটি সাধারণ ককটেল থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী ছিল বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।

Advertisement

সোমবার (২৭ মে) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আহত রিকশাচালক লাল মিয়াকে দেখার পর তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ককটেল বিস্ফোরণে আহত রিকশাচালক লাল মিয়া মাথার স্কালব ভেঙে ব্রেইনে চাপ লেগেছে। রোববার রাতেই তার মাথার অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। এখন সবকিছু নরমাল আছে। তবে সে এখনও ঝুঁকিপূর্ণ। তার চিকিৎসার জন্য যা যা করা দরকার সবকিছুই করা হচ্ছে।

হামলাকারীদের বিষয়ে ডিএমপি প্রধান বলেন, কাউন্টার টেরোরিজম, ডিবি, সিআইডি ঘটনাস্থলে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছে। কারা, কী উদ্দেশ্যে এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এটি কী ধরণের বিস্ফোরক তা কাউন্টার টেররিজমের বোম ডিসপোজাল ইউনিট খতিয়ে দেখছে।

Advertisement

তিনি বলেন, যে বোমার বিস্ফোরণ ঘটেছে এটি সাধারণ ককটেলের চাইতে শক্তিশালী। এটি পুলিশকে টার্গেট করা হয়েছে না কি অন্য কোনো লক্ষ্যে করা হয়েছে- তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ককটেলটি পুলিশ ভ্যানের পেছনে আগে থেকেই রাখা ছিল বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে। জনমনে ভীতি, নৈরাজ্য, অরাজকতা সৃষ্টি করার জন্য কোনো গোষ্ঠী এটি করতে পারে। তবে, জঙ্গি সম্পৃক্ততা আছে কি না তা এই মুহূর্তে বলা যাবে না।

এর আগে তিনি মালিবাগের ঘটনায় আহত এএসআই রাশেদা খাতুনকে দেখতে রাজারবাগে কেন্দ্রীয় পুলিশ লাইনস হাসপাতালে যান। রাতে রাশেদাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাজারবাগে পাঠানো হয়েছিল।

প্রসঙ্গত রোববার (২৬ মে) রাত ৯টায় রাজধানীর মালিবাগ মোড়ে সিএনজি পাম্পের বিপরীতে ফ্লাইওভারের নিচে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশের গাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ডিএমপির ট্রাফিক পূর্ব (সবুজবাগ) বিভাগের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রাশেদা খাতুন, রিকশাচালক লাল মিয়া এবং আরেক পথচারী আহত হন।

এআর/এমএমজেড/এমকেএইচ

Advertisement