ইস্টার সানডেতে একযোগে শ্রীলঙ্কার কয়েকটি গির্জা ও হোটেলে বোমা হামলায় জড়িত ইসলামপন্থী উগ্র সংগঠনের সদস্যদের ধরতে শ্রীলঙ্কা সেনাবাহিনী চারদিনের একটি অভিযান চালিয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে রোববার পর্যন্ত চলা অভিযানে প্রায় ১০০ জনকে আটক করা হয়েছে। ইস্টার সানডের ওই হামলায় ২৫৮ জন নিহত হন।
Advertisement
একজন সেনা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অভিযান ঘিরে শ্রীলঙ্কার রাজধানী ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শহরে ৩ হাজারের মতো সেনাসদস্য মোতায়েন করা হয়। অভিযানের প্রথম তিনদিনে ৮৭ জনকে আটক করে তাদের বিষয়ে যাচাই-বাছাইয়ের জন্য পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন : শ্রীলঙ্কা থেকে ভারত অভিমুখে ১৫ আইএস জঙ্গি
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এক কর্মকর্তা বলেছেন, আটকের সংখ্যা এখন প্রায় ১০০ হবে। তবে এদের বেশিরভাগকেই আটক করা হয়েছে মাদক ও অবৈধ অস্ত্র রাখার অপরাধে।
Advertisement
২১ এপ্রিল হামলার জন্য ন্যাশনাল তাওহিদ জামাত (এনটিজে) নামে যে সংগঠনকে দায়ী করা হচ্ছে তাদের কিছু ভিডিও ও কাগজপত্রসহ বাকিদের আটক করা হয়েছে। আইএসও ওই হামলার দায় স্বীকার করেছিল।
আত্মঘাতী ওই হামলার পর জরুরি অবস্থা জারি করা হয় শ্রীলঙ্কায়। বুধবার ওই জরুরি অবস্থা আরও একমাসের জন্য বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা। অবশ্য শ্রীলঙ্কায় জিহাদিদের হুমকি কাটিয়ে উঠেছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন : শ্রীলঙ্কায় বোমা হামলায় পরিবারের সদস্য হারিয়েছে অন্তত ২০০ শিশু
শ্রীলঙ্কার জনসংখ্যা বেশিরভাগেই বৌদ্ধ। দেশটির মোট জনসংখ্যার ৭.৬ শতাংশ খ্রিস্টান ও ১০ শতাংশ মুসলিম।
Advertisement
সূত্র : এএফপি।
এনএফ/এমকেএইচ