খেলাধুলা

চাইলে ১৯৯৯ বিশ্বকাপেও দলকে নেতৃত্ব দিতে পারতেন দুর্জয়!

 

• অস্ট্রেলিয়ার সাথে খেলার আগের রাতে অধিনায়কত্বের প্রস্তাব এসেছিল তার কাছে

Advertisement

• কিন্তু সিনিয়র ক্রিকেটারদের দীর্ঘ সম্পৃক্ততা আর অবদানকে শ্রদ্ধা দেখিয়ে আর মূল্যায়ন করেই স্বেচ্ছায় ফিরিয়ে দিয়েছিলেন সেই দল পরিচালনার অফার।

‘অলরাউন্ডার’ বলতে যা বোঝায়, নাঈমুর রহমান দুর্জয় ছিলেন তাই। ক্রিকেটারের শ্রেনী বিন্যাসে মানিকগঞ্জের এ সুঠামদেহী ক্রিকেটার ছিলেন পুরোদস্তুর অলরাউন্ডার। একজন স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যান। পাশাপাশি জেনুইন অফ স্পিনার। ফিল্ডার হিসেবে ছিলেন দারুন। 

গালি, পয়েন্ট, কভার আর স্কোয়ার লেগ- তিরিশ গজের মধ্যে দুর্জয় যেন ছিলেন অতন্দ্র প্রহরী। তার হাত গলে বল বাইরে যেত কমই।  কিন্তু সেগুলোই তার মূল পরিচয় নয়। দেশ ছাপিয়ে ক্রিকেট বিশ্ব তাকে চেনে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে। তিনি বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।

Advertisement

নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের নেতৃত্বেই ২০০০ সালের ১০ নভেম্বর ক্রীড়াকেন্দ্র বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে টেস্ট যাত্রা শুরু হয়েছিল বাংলাদেশের। ভারতের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেকের প্রথম প্রহরে সৌরভ গাঙ্গুলির সাথে মুদ্রা নিক্ষেপের মধ্য দিয়ে নেতৃত্বের অভিষেক ঘটে নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের।

শুধু প্রথম টেস্ট অধিনায়কই নন, টিম বাংলাদেশের প্রথম টেস্টে বল হাতে ৬ উইকেট শিকার করে একটি বিশ্ব রেকর্ডের স্রষ্টাও এ চৌকশ ক্রিকেটার। 

ভাবছেন এ আর নতুন কি? এ কথা সবাই জানে। এসব তথ্য প্রতিটি বাংলাদেশ ভক্ত-সমর্থকের মনে এমনিতেই গাঁথা; কিন্তু কেউ কি জানেন!  এখন মানিকগঞ্জ-১ আসনের টানা দ্বিতীয় বারের নির্বাচিত সাংসদ, বিসিবি পরিচালক নাঈমুর রহমান দুর্জয় ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে টিম বাংলাদেশের নেতৃত্বও দিতে পারতেন। মানে বাংলাদেশের প্রথম বিশ্বকাপে আমিনুল ইসলাম বুলবুলের পাশাপাশি অধিনায়ক হয়ে যেতে পারতেন দুর্জয়ও।

কি ধাঁধায় পড়ে গেলেন? নিশ্চয়ই খুব গোলমালে ঠেকছে, তাই না? ভাবছেন সে কি কথা? বিশ্বকাপে তো অধিনায়ক ছিলেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। আর সহ-অধিনায়কের দায়িত্বটা ছিল খালেদ মাহমুদ সুজনের। তাহলে নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের অধিনায়ক হবার প্রসঙ্গ আসলো কি করে?

Advertisement

তিনি কি করে অধিনায়ক হতেন? সেটা এমনি এমনি আসেনি। তারও একটা ঐতিহাসিক সত্যতা আছে। প্রথম বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের আগের রাতে নাঈমুর রহমান দুর্জয়কে অধিনায়ক হওয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। হাওয়া থেক পাওয়া খবর নয়। নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের নিজের দেয়া তথ্য।

১৯৯৯ বিশ্বকাপের ঠিক ২০ বছর পর ২৫মে শনিবার রাতে জাগো নিউজের সাথে একান্ত আলাপে ১৯৯৯ সালের প্রথম বিশ্বকাপের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে অনেক কথার ভীড়ে এ ‘নতুন খবর’ দিয়েছেন দুর্জয় নিজেই।

দুর্জয়ের নিজ মুখের সংলাপ, ‘বিশ্বকাপের ঠিক মাঝামাঝি চেস্টারলিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের ঠিক আগের রাতে হঠাৎ আমাকে দল পরিচালনার দায়িত্ব দেয়ার প্রস্তাব করা হয়।’

অধিনায়ক, সহ-অধিনায়ক থাকতেও আপনার কাঁধে দল পরিচালনার দায়িত্ব দেয়ার প্রস্তাব? একটু বিস্ময়করই দো ঠেকছে! কে দিয়েছিলেন ওই ঐতিহাসিক প্রস্তাব?

এবার নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের খানিক কৌশলী জবাব, কে আমাকে অধিনায়ক হতে বলেছিলেন? আমি এখন নাম নাই বা বললাম। শুধু এটুকু বলে রাখি, বোর্ড আর টিম ম্যানেজমেন্টের একদম শীর্ষ পর্যায় থেকেই আমাকে আনুষ্ঠানিকভাবে অধিনায়ক হবার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল।

আপনি কি জবাব দিলেন? বিশ্বকাপের মত বড় আসরে এক ম্যাচে অধিনায়কত্ব করাও যে বিশাল কিছু! বিশ্বকাপের বিরাট মঞ্চে অধিনায়কের তকমা নিয়ে মঞ্চে ওঠা তথা মাঠে দলকে নেতৃত্ব দেবার এমন  সুবর্ণ সুযোগ আর আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব- ক্যাপ্টেন্সির অফারটা সাদরে গ্রহণ করলেন না কেন?

নাঈমুর রহমান দুর্জয়ে স্বভাবসুলভ জবাব, নাহ! আমি তা গ্রহণ করিনি। জেনে বুঝে এবং চিন্তা ভাবনা করেই গ্রহণ করিনি। অফার ফিরিয়ে দিয়েছি।  

কেন এমন লোভনীয় আর বড় অফার স্বেচ্ছায় গ্রহণ না করে ছেড়ে দিলেন? তখন আপনার বয়স খুব কম। বড়জোর ২২। দলে অনেক সিনিয়র প্লেয়ার ছিলেন। তারাই সংখ্যাগরিষ্ঠ, আপনি কি তবে নেতৃত্বের চাপের কথা ভেবে ঘাবড়ে গিয়েছিলেন? নাকি ভিতরে কোন চাপ অনুভব করছিলেন?

‘আরে নাহ! ওসব কিছু না। চাপ, ডর-ভয়ের কিছুই না। আমি তখন ক্যাপ্টেন্সির কথা মাথায়ই আনিনি। না আনার যথেষ্ঠ কারণও ছিল। আসলে আমি বিশ্বাস করতাম এখনো করি। তাহলো, আমাদের সময় কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটার ছিলেন। যারা দীর্ঘ দিন টিম বাংলাদেশের প্রায় ছায়া সঙ্গী হয়েই ছিলেন। দলকে সামনে এগিয়ে নিতে আর আইসিসি ট্রফির গন্ডি পেরিয়ে বিশ্বকাপে পৌঁছে দিতে যাদের ভূমিকা ছিল প্রচুর। এক অর্থে ক’জন সিনিয়র ক্রিকেটারের প্রাণান্ত প্রচেষ্টা টিম বাংলাদেশকে বিশ্বকাপের বড় মঞ্চে আরোহনে রেখেছিল অগ্রণী ভূমিকা। শুধু সিনিয়র প্লেয়ার ও বয়সে আমার বড়, সন্মান ও শ্রদ্ধার পাত্র বলেই নয়, আমি তাদের পারফরমেন্স ও অবদানের কথাও সব সময়ই মাথায় রেখেছি। মূল্যায়নের চেষ্টা করেছি। তাই বড়দের রেখে নিজে অধিনায়ক হইনি। আমার মনে হয়েছে, তখন আমার দলের মধ্যে নায়ক সাজাটা ভাল দেখাতো না। এমন চিন্তা থেকেই বিশ্বকাপের মাঝপথে দল পরিচালনার অফার পেয়েও তা গ্রহণ করিনি।’

একবার ভাবুন তো, সেদিন টিম ম্যানেজমেন্টের শীর্ষ কর্তা ব্যক্তির দেয়া প্রস্তাব মানলে দুর্জয় এক পাহাড় সমান সাফল্যের প্রধান সেনাপতি হয়ে থাকতেন। কারণ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বিশ্বকাপে গ্রুপে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচের পরেই যে ছিল পাকিস্তানের সাথে শেষ ম্যাচ। ওই ম্যাচ জিতে টাইগাররা সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করে বসেছিল। আর অধিনায়কত্বর প্রস্তাব মেনে নিলে দুর্জয় হয়ে যেতেন ওই আকাশছোঁয়া সাফল্যের ‘ক্যাপ্টেন।’

যা হয়নি, আর নিজ থেকেই যা গ্রহণ করেননি- দুর্জয় তা নিয়ে মাথাও ঘামাতে নারাজ। আরও অনেক কিছুই ভাবতে চাননি এ অলরাউন্ডার। একটু সচেতন হলে আর নিজের ক্যারিয়ারকে সমৃদ্ধ করতে চাইলে হয়ত তার নামের পাশেও মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর মত প্রথম বিশ্বকাপে একজোড়া ‘ফিফটি’ থাকতে পারতো। 

তাও যেনতেন দলের বিপক্ষে নয়, ওই আসরে যে দুই দলের ফাস্ট বোলিং শক্তি ছিল সবচেয়ে ধারালো- সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর অস্ট্রেলিয়ার সাথেই অর্ধশতক হাঁকানোর সুবর্ণ সুযোগ ছিল দুর্জয়ের। যে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ম্যাচে পঞ্চাশে (১২৯ বলে ৬৪) পা রেখে মেহরাব হোসেন অপি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম হাফ সেঞ্চুরিয়ান হয়ে রেকর্ডের খাতায় নিজের নামকে স্থায়ীভাবে লিপিবদ্ধ করে ফেলেছেন, সেই একই ম্যাচে দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরিয়ান হয়ে যেতে পারতেন দুর্জয়ও; কিন্তু মাত্র ৫ রানের জন্য পারেননি। 

আজকের বাংলাদেশ ফাস্ট বোলিং কোচ তখনকার সময়ের অন্যতম সেরা ফাস্ট বোলার কোর্টনি ওয়ালশের বলে লেগবিফোর উইকেটে ফাঁদে জড়িয়ে দুর্জয় যখন সাজঘরে ফেরেন তখন তার নামের পাশে লিখা হয়ে গেছে ৪৫ রান (৭২ বলে, চার বাউন্ডারি)।

কোর্টনি ওয়ালশ, রেয়ন কিং আর মারভিন ডিলনের মত ভয়ঙ্কর ফাস্ট বোলারদের বিপক্ষে আয়ারল্যান্ডের ক্যাসল অ্যাভিনিউয়ের পিচে বাংলাদেশ ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল শুরুতেই। স্কোর বোর্ডে ৫৫ রান জমা পড়তেই সাজঘরে ফেরত গিয়েছিলেন ওপেনার শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ (২) আর তিন প্রধান স্তম্ভ আকরাম (৪), আমিনুল ইসলাম বুলবুল (২) আর মিনহাজুল আবেদিন নান্নু (৫)। সেই কঠিন বিপদ ও চাপে অপি আর দুর্জয় হাল ধরেছিলেন। পঞ্চম উইকেটে ৮৫ রানের বড়সড় পার্টনারশিপ গড়ে শুরুর ধাক্কা সামলেও দিয়েছিলেন।

ওপরের ছোট্ট পরিসংখ্যানটা একটু মনোযোগ দিয়ে লক্ষ্য করলেই দেখা যাবে ৮৫ রানের পার্টনারশিপে অপির চেয়ে দুর্জয়ের অবদানই বেশি। একইভাবে এডিনবরার গ্র্যাঞ্জ ক্রিকেট ক্লাব মাঠে স্কটল্যান্ডের সাথে লক্ষ্য পূরণের ম্যাচেও ব্যাট হাতে সময়ের দাবি মিটিয়েছেন দুর্জয়। 

২৬ রানে ইনিংসের অর্ধেকটা শেষ হবার পর নান্নু যখন হিমালয়ের দৃঢ়তায় একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন, ঠিক সে সময় অপর প্রান্তে দুর্জয় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। সে ম্যাচে শেষ পর্যন্ত ২২ রানের জয় ধরা দিলেও নান্নু আর দুর্জয় মিলে চরম বিপর্যয়ে ৬৯ রানের জুটি গড়ে দলকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলেছিলেন। সেই জুটিতেও দুর্জয়ের অবদান ছিল ৩৬ (৫৮ বলে পাঁচ বাউন্ডারিতে)। 

পাঁচ ফ্রন্টলাইনার মেহরাব অপি (৩), খালেদ মাসুদ পাইলট (০), ফারুক আহমেদ (৭), আমিনুল ইসলাম বুলবুল (০) আর আকরাম খান (০) সাজঘরে ফেরার পর পুরো বাংলাদেশ সাজঘরে নেমে এসেছিল কবর নিস্তবদ্ধতা। সেই চরম বিপদে নান্নুর পাশে ২২ বছরের দুর্জয় অসীম সাহস আর অবিচল আস্থায় বুক চিতিয়ে লড়াই করে স্কটিশ বোলারদের ওপর ছড়ি ঘোরানোর প্রাণপন চেষ্টা করেন।

নান্নু ১১৬ বলে ৬৮* শেষ পর্যন্ত একদিক আগলে রাখলেও রানের চাকা সচল করতে গিয়ে দুর্জয় ৩০ নম্বর ওভারে বিদায় নেন। শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপে হাফ সেঞ্চুরির দেখা মেলেনি; কিন্তু তা নিয়ে এতটুকু আফসোস নেই। ২০ বছর পর অবলীলায় বলে বসলেন, ‘হ্যাঁ, হাফ সেঞ্চুরির সুযোগ ও সম্ভাবনা দুই’ই ছিল আমার সামনে; কিন্তু আসলে আমি সেভাবে চিন্তা করিনি। 

ব্যক্তিগত মাইলফলক স্থাপনের চেয়ে আমার লক্ষ্য ও পরিকল্পনা ছিল দলকে সাহায্য করা। দলের জন্য কিছু করার চিন্তা থেকেই আসলে আমি নিজের কথা না ভেবে পরিবেশ অনুযায়ী খেলেছি। সময়ের দাবি মেটানোর চেষ্টা করেছি। একটু লক্ষ্য করে স্কোরকার্ড ঘাটলে কিংবা ওই দুই ম্যাচের ভিডিও ক্লিপ্স দেখলেই পরিষ্কার হবে তখন দল ছিল চরম সংকট ও বিপদে। 

ওই বিপর্যয় এড়াতে দরকার ছিল পার্টনারশিপ। বড় জুটির। আমি সেই পার্টনারশিপই চেয়েছিলাম। আমার কাছে বিপদ কাটিয়ে দলকে এগিয়ে নেয়াটাই ছিল বড়। কাজেই বিশ্বকাপে অর্ধশতক হয়নি, এ নিয়ে হা-পিত্যেশ নেই আমার। বরং স্কটল্যান্ডের সাথে ‘মাস্ট উইন ম্যাচে’ দলের প্রয়োজনে অবদান রাখতে পেরেছি সেটাই অনেক বড়।’

আর সবার মত পাকিস্তানের সাথে ঐতিহাসিক জয়টি দুর্জয়ের মনকেও নাড়া দেয়। আবেগতাড়িৎ করে। মনে অন্যরকম শিহরণ-রোমাঞ্চ জাগায়। ওই ম্যাচের স্মৃতিচারণ করতে বলা হলে দুর্জয়ের মূল্যায়ন, ‘আসলে আমরা বিশ্বকাপ খেলার ছাড়পত্র পাবার আগে মানে ১৯৯৭ সালের আইসিসি ট্রফি জেতার আগে থেকেই নিয়মিত এশিয়া কাপ খেলতাম। সেটাই ছিল আমাদের মানে সবচেয়ে বড় আসরে প্রতিদ্বন্দ্বীতা।

তখন এশিয়া কাপ খেলেই পুলকিত হতাম। মনে হতো ভারত, পাকিস্তান আর শ্রীলঙ্কা- তিন সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের সাথে খেলছি; কিন্তু বিশ্বকাপ তো অনেক বড়। ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় মঞ্চ। সেখানে খেলতে পারা, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে মাঠে ব্যাট ও বলের লড়াই করা- অনেক বেশি উত্তেজনার। আবেগ-উচ্ছাস, উৎসাহ-উদ্দীপনা অনেক বেশি।

তাই আর সবার মত প্রথমবার বিশ্বকাপ ক্রিকেটে অংশ নিতে গিয়ে আমিও দারুণ এক্সাইটেড ছিলাম। আমার মনে হয় গর্ডন গ্রিনিজের অধীনে আমাদের প্রস্তুতি পর্বটা ভালই হয়েছিল। গর্ডন তার ক্যারিয়ারের সব অভিজ্ঞতাই শেয়ার করেছেন আমাদের সাথে। তার নিজের ওয়ার্ল্ডকাপ খেলার অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করাটা অবশ্যই আমাদের বিশ্বকাপ প্রস্তুতিকে সমৃদ্ধ করেছিল বলে বিশ্বাস আমার।’

এআরবি/আইএইচএস/পিআর