রাজনীতি

চারদিনেই মুক্তি পেতেন খালেদা জিয়া : মোশাররফ

আইনি লড়াই হলে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া মাত্র ৪ দিনে মুক্তি পেতেন বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে বানোয়াট ও মিথ্যা মামলায় কারাগারে রাখা হয়েছে। এখন নানাভাবে তার জামিন বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে।

Advertisement

রোববার (২৬ মে) সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৩৮তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে এ ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, খালেদা জিয়া যে মামলায় কারাগারে গেছেন আইনি লড়াই হলে মাত্র ৪ দিনের মাথায় ওই মামলায় উনি মুক্তি পেতেন। কিন্তু এখানে আইনি বিষয় নেই, রাজনৈতিক কারণে তার মুক্তি হচ্ছে না।

বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী শক্তি না থাকলে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব থাকবে না মন্তব্য করে বিএনপির এ নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ গায়ের জোরে ক্ষমতায় এসেছিল। গায়ের জোরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখেছে। আজ দেশের মানুষের কথা বলার অধিকার নেই। দেশে গণতন্ত্র নেই।

Advertisement

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এদেশে একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছিল। পরবর্তীতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। আওয়ামী লীগ একদলীয় বাকশাল কায়েম করে দেশে যে রাজনৈতিক সঙ্কট সৃষ্টি করেছিল সেই শূন্যতা থেকে দেশের মানুষকে মুক্তি দিয়েছিল বিএনপি। এদেশে জাতীয়তাবাদী শক্তি না থাকলে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব থাকবে না।

মোশাররফ বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে বানোয়াট ও মিথ্যা মামলায় কারাগারে রাখা হয়েছে। এখন নানাভাবে তার জামিন বাধাগ্রস্থ করা হচ্ছে। খালেদা জিয়ার মুক্তি যে আইনি বিষয় নয় সেটা লন্ডনে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যেই প্রমাণিত হয়েছে। সরকারের হস্তক্ষেপে খালেদা জিয়ার জামিন হচ্ছে না। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মুন্সী বজলুল বাসিত আঞ্জুর সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, বেগম সেলিমা রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

কেএইচ/আরএস/পিআর

Advertisement