চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী খানকা ও অরাজনৈতিক সংগঠন মুনিরীয়া যুব তবলীগের পীর মুনির উল্লাহর সঙ্গে স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের আঁতাতের অভিযোগ এনেছেন একসময় ওই সংগঠনের ওলামা পরিষধের দায়িত্বে থাকা আলেম-ওলামারা।
Advertisement
তারা বলছেন, মূলত আখের গোছানোর অভিপ্রায়ে এ পীর সন্ত্রাসী ও জঙ্গি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন।
রোববার (২৬ মে) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে তারা এসব কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওলামা পরিষদের মুফতি ইব্রাহিম হানফী, মাওলানা এমদাদুল হক মুনিরী, সৈয়দ মো. আবদুল্লাহ রশিদী, মাওলানা মমতাজুল হক নুরী, মাওলানা নুরুল আবছার, মাওলানা আশিকুর রহমান ,আল্লামা গাজী মুঈনুদ্দীন রেজভী, মাওলানা সৈয়দ মোহাম্মদ তৈয়বুল ইসলাম প্রমুখ।
Advertisement
লিখিত বক্তব্যে মাওলানা আশিকুর রহমান বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম, শান্তির মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভই একমাত্র পথ। যে তরিকাই হোক না কেন, প্রতিটি তরিকতেই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের কথা বলা আছে। তরিকতের আলোকে এ সংগঠন (মুনিরীয়া যুব তবলীগ) সমাজ ও আগামী প্রজন্মকে সত্য ও সুন্দরের পথে পরিচালনার কথা থাকলেও আদৌ সংগঠনের কর্ণধার এদিকে মনোযোগ না দিয়ে ভিন্ন পথে নিজের আখের গোছানোর অভিপ্রায়ে সন্ত্রাসী ও জঙ্গি কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে প্রতিনিয়ত জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছেন। যা ওলামা পরিষদসহ রাউজানের শান্তিপ্রিয় আপামর জনসাধারণ সমর্থন করে না।
‘বিবেকের তাড়নায় একটি ভুল ও ভ্রান্ত মতবাদের তরিকতের সঙ্গে জড়িত ছিলাম বলে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলাম এবং তওবা করার মধ্য দিয়ে নিজেকে হালকা বোধ করছি।’
তিনি আরও বলেন, অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আমরা আগে মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটির ওলামা পরিষদের বিভিন্ন পদে আসীন ছিলাম। কিন্তু ভণ্ডপীর মুনির উল্লাহর নির্দেশে বিভিন্ন সময় মাহফিলে ওলামাদের দ্বারা নির্ধারিত বক্তব্য লিখিত আকারে পাঠিয়ে পাঠ করা হতো। যা কোরআন, হাদিস তথা ইসলামি শরিয়তের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও উস্কানিমূলক। আমরা লিখিত বক্তব্যের বাইরে কিছু বলতে গেলে মুনির উল্লাহর রোষানলের শিকার হতাম এবং অনেক ওলামা বিভিন্ন সময় নির্যাতিত হয়ে সংগঠন ত্যাগ করতে বাধ্য হন।
আবু আজাদ/এমএআর/পিআর
Advertisement