১৯৭৬ সালে সুচিত্রা সেন ও সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় জুটির ছবির রিমেক বলে কথা। সেটাও আবার বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সৃষ্টি অবলম্বনে ছবি। তাই বেশ ঘটা করেই শুটিং শুরু হয়েছিল ছবিটির।
Advertisement
‘দত্তা’ নামের সেই ছবিতে বিলাস চরিত্রে চুক্তিবদ্ধ আছেন বাংলাদেশের অভিনেতা ফেরদৌস। এ ছবিতে আরও অভিনয় করবেন তার খুব ভালো বন্ধু ঋতুপর্ণা ঘোষ। তিনি সুচিত্রা সেনের চরিত্রে রূপ দান করছেন।
মাঝখানে কয়েক দফায় ছবিটির শুটিং করেছেন পরিচালক নির্মল চক্রবর্তী। কিন্তু নতুন করে শুটিং করতে গিয়ে একটু চাপে আছেন তিনি। পাচ্ছেন না নায়ক ফেরদৌসকে। বাংলাদেশের নাগরিক হয়েও ভারতে নির্বাচনী প্রচারণার খেসারত দিতে হচ্ছে এ নায়ককে। বাতিল হয়েছে তার ভারতীয় ভিসা। এখন দেশটিতে তার প্রবেশ নিষিদ্ধ।
ফলে এখন আটকে আছে কলকাতার ‘দত্তা’ ছবির কাজ। তবে নির্বাচন শেষ হয়েছে। স্বাভাবিক হচ্ছে ভারতের রাজনীতির উত্তপ্ত পরিবেশ। ফেরদৌসের প্রতি আস্থা রাখছেন ছবির পরিচালক। টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক বক্তব্যে নির্মল চক্রবর্তী জানান, ফেরদৌসের পরিবর্তে অন্য কাউকে নেওয়ার ইচ্ছে নেই তার। ফেরদৌসের জন্য অপেক্ষা করছেন তারা। তাকে নিয়েই শেষ করবেন ‘দত্তা’ ছবির কাজ।
Advertisement
নির্মাতা নির্মল আশা করছেন আগামী জুনের শেষ দিকেই ফেরদৌসের ভিসা-সংক্রান্ত জটিলতা কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর ছবির কাজ শুরু করতে কোনো বাধা থাকবে না।
এদিকে চিত্রনায়ক ফেরদৌস জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমি আসলে জানি না এই জটিলতা কখন কাটবে। সবটাই সময়ের ওপর ছেড়ে দিয়েছি। খারাপ লাগছে কলকাতায় বেশকিছু কাজ আটকে আছে আমার।’
প্রসঙ্গত, গত ১৪ এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গের রায়গঞ্জ লোকসভা আসনের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কানাইয়ালাল আগরওয়ালের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন দুই বাংলার জনপ্রিয় নায়ক ফেরদৌস। এরপরই একজন বিদেশি নাগরিক হয়ে ভারতের সাধারণ নির্বাচনের প্রচারণায় অংশ নেওয়ায় ফেরদৌসকে নিয়ে আপত্তি তোলে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি।
সেই আপত্তির মুখে তুমুল সমালোচনার শিকার হন ফেরদৌস। স্থগিত হয় তার ভারতীয় ভিসা।
Advertisement
উল্লেখ্য, ফেরদৌস যে প্রার্থীর নির্বাচনী র্যালিতে অংশ নিয়েছিলেন সেই কানাইয়ালাল আগরওয়াল নির্বাচনে জিততে পারেননি। রায়গঞ্জে বিজেপির প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরীর কাছে হেরে গেছেন তিনি।
এলএ/জেআইএম