বলা হয়ে থাকে- সুন্দর কর্মপরিবেশ মানুষের কাজ করার ক্ষমতাকে বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়। আর সুন্দর বাসস্থান মানুষকে করে তোলে সু-স্বাস্থ্যের অধিকারী। এই সুন্দর কর্মপরিবেশ এবং বাসস্থানের জন্য চাই মনোরম ইন্টেরিয়র ডিজাইন (গৃহসজ্জা)।
Advertisement
মানুষের প্রতিদিনের জীবনধারায় পরিবেশবান্ধব ইন্টেরিয়র ডিজাইনের গুরুত্ব তুলে ধরে দেশে প্রথমবারের মতো পালিত হয়েছে ‘ওয়ার্ল্ড ইন্টেরিয়র ডে-২০১৯’। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ছিল ‘ডিজাইনিং স্পেস, চেঞ্জিং লাইভস’।
দিবসটি উপলক্ষে শনিবার (২৫ মে) রাজধানীর বাংলামোটোরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ইস্ফেন্দিয়ার জাহেদ হাসান মিলনায়তনে উন্মুক্ত আলোচনার আয়োজন করা হয়।
ওয়ার্ল্ড ইন্টেরিয়র ফেডারেশনের আহ্বানে বাংলাদেশের ইন্টেরিয়র ডিজাইনিং ফার্ম ‘আর্কিডেন ইন্টেরিয়র’ এবং ‘ক্রিয়েটিভ ফাইভ’ যৌথভাবে এই আলোচনার আয়োজন করে।
Advertisement
এতে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে ইন্টেরিয়র ডিজাইন বা অন্দরসজ্জার ওপর আলোচনা করেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতি ড. সফিউদ্দিন আহমেদ, শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজির রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী হোসনে আর বেগম, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আমিনুল ইসলাম, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপ-সচিব শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের অধ্যাপক নিলুফার আকতার জাহান, এন আর খান অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের প্রকৌশলী তানিয়া করিম, কুয়েটের সহকারী অধ্যাপক সুহেলী শায়লা আহমেদ প্রমুখ।
আরও বক্তব্য দেন ক্রিয়েটিভ ফাইভের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী সুহেলী শায়মা সেঁজুতি এবং সহ-প্রতিষ্ঠাতা আবু আল সৌদ শীতল।
অনুষ্ঠানে বেক্সিমকোর তথ্য-প্রযুক্তি বিভাগের প্রধান কাজী আকরামুল হক তথ্য-প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে কীভাবে অন্দরসজ্জাকে আরও বেশি পরিবেশবান্ধব করা যায় সে বিষয়ে একটি প্রেজেন্টশন উপস্থাপন করেন।
বক্তারা বলেন, একটি বাড়ি বা ঘর নির্মাণ করেই কাজ শেষ হয়ে যায় না। সারাজীবনের মাথাগোঁজার ঠাঁইটি যেন স্বাস্থ্যকর হয়, সেটির বিষয়েও লক্ষ্য রাখতে হবে। যার জন্য সঠিকভাবে ইন্টেরিয়র ডিজাইন করতে হবে। আধুনিক বিশ্বে যা খুবই প্রচলিত। কিন্তু বাংলাদেশে এখনও সেই পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। কিন্তু একটি সুখী ও স্বাস্থ্যকর জীবন আনন্দদায়কভাবে কাটাতে এটির বাড়তি গুরুত্ব রয়েছে।
Advertisement
বক্তারা আরও বলেন, প্রতিনিয়ত পরিবেশ দূষণের ফলে মানুষই তার আবাসস্থল ধ্বংস করছে। সেজন্য এখন গৃহনির্মাণের ক্ষেত্রে পরিবেশ সচেতনতার বিষয়টি লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। কিন্তু এখানেই দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। ঘরের অন্দরসজ্জাতেও পরিবেশের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকতে হবে। ঘরের কোনে ছোট্ট একটি টবে গাছের চারা রেখে কিংবা পরিবেশবান্ধব রঙ ব্যবহার করে যা সহজেই করা সম্ভব।
এমবিআর/এমএস