জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে মিয়ানমারের দুই নাগরিককে আটক করেছে র্যাব-৭। তাদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের যোগাযোগ রয়েছে বলে ধারণা করছে র্যাব। রোববার বেলা দেড়টার দিকে র্যাব-৭ কক্সবাজার ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানি অধিনায়ক মেজর এএইচ মহিউদ্দিন এসব তথ্য জানান।আটকরা হলেন, মিয়ানমার মংডু উকিলপাড়া এলাকার মো. আব্দুল হাকিমের ছেলে মো. ইউনুছ (৩৫), মংডু জামবইন্ন্যা এলাকার অলি আহম্মদের ছেলে মো. রফিক (২৬)।এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার শহরের তারাবনিয়ারছড়াস্থ একটি ভবন থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় বিদেশি পিস্তল, কয়েক রাউন্ড গুলি, বেয়নেট ছুরি, বিস্ফোরক দ্রব্য, মোবাইল, জার্সি ও বিদেশি কিছু মুদ্রাও উদ্ধার করা হয়।সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানি অধিনায়ক মেজর এএইচ মহিউদ্দিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার সন্ধ্যায় তারাবনিয়ারছড়া এলাকায় মৌলানা আবু তাহেরের ভবনের নিচ তলায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।আটকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত রয়েছে বলে জানিয়েছে। এ সময় তাদের ফ্ল্যাট থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুইটি পিস্তল, ম্যাগাজিন, দুই রাউন্ড গুলি, এসএমজি গুলি এক রাউন্ড, শর্টগানের গুলি এক রাউন্ড, একে-৪৭ রাইফেলের পাঁচটি বেয়নেট ছুরি, দুটি টিপ ছুরি, হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড ১০০ এম এল, কালো মুখোশ ১০টি, চুনের গুড়া ১৬ কেজি, নাইট্রিক এসিড সম্বলিত ১০ কেজি, গন্ধকের গুড়া ২০ গ্রাম, ফিটকারি ভাঙা দেড় কেজি ও ১২টি জার্সি উদ্ধার করা হয়। তাদের কাছ থেকে মিয়ানমার, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার কিছু মুদ্রাও পাওয়া যায়।মেজর মহিউদ্দিন জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজার শহরে অবস্থান করছে। এর আগে তারা চট্টগ্রামের পটিয়া অবস্থান করেছিল। তবে তারা কোন জঙ্গি সংগঠনে জড়িত তা বলতে পারেনি র্যাব-৭। এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ ও অনুসন্ধান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।জঙ্গিদের তৎপরতা সর্ম্পকে তিনি জানান, কক্সবাজার শহরের কিছু এলাকা এবং নাইক্ষ্যংছড়ি ও বান্দরবনের পাহাড়ি এলাকায় জঙ্গিদের বিচরণ রয়েছে। তবে তাদের পরিকল্পনা ও এর সঙ্গে কারা জড়িত এ বিষয়ে র্যাব অনুসন্ধানে নেমেছেন। আটকদের বিরুদ্ধে অস্ত্র, বিস্ফোরক ও বিদেশি নাগরিক আইনে মামলা দায়ের করা হবে বলে জানিয়েছেন মেজর মহিউদ্দিন।সায়ীদ আলমগীর/এআরএ/আরআইপি
Advertisement