শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হলে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্বপ্নও বাস্তবায়িত হবে। বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা ও কাজী নজরুলের স্বপ্ন একই সুতোয় গাঁথা। তারা সবাই অসাম্প্রদায়িক, স্বাধীন ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতেন। নজরুল ও বঙ্গবন্ধু উভয়েই শোষিতের পক্ষে ছিলেন। আজ বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে নজরুলের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হচ্ছে।
Advertisement
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার (২৫ মে) বিকেলে তার স্মৃতিবিজড়িত ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার দরিরামপুরে নজরুল মঞ্চে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় আয়োজিত জাতীয় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নজরুল তার লেখনীতে যে সাম্যের বার্তা দিয়েছেন তা স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, মানবতা এবং সুবিচারের বিবেচনায় সুতীক্ষ্ণ ও উজ্জ্বল। তার কল্পনা কখনও ধর্মীয় উদারতা, কখনও স্বাধীনতা, কখনও মানবতা আবার কখনও নৈরাজ্যকে স্পর্শ করেছে। সমাজবিধানের অসঙ্গতি, স্ববিরোধিতা, জাতি ও শ্রেণি বৈষম্যের প্রতি কবির কণ্ঠ সব সময়ই সোচ্চার ছিল। এসব কিছুর মূল ছিল মানবমুক্তি ও মানব কল্যাণ।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. হাফেজ রুহুল আমিন মাদানী, ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ও কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক। স্মারক বক্তা ছিলেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ, স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল।
Advertisement
সভাপতির বক্তব্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সংগীত, সাহিত্য ও রাজনৈতিক দর্শন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আন্দোলন, সংগ্রাম ও মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় যুগিয়েছে অনাবিল অনুপ্রেরণা। জাতির পিতা ছিলেন এ মহান কবির একান্ত অনুরক্ত। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরপরই জাতির পিতার ঐকান্তিক উদ্যোগে কবিকে কলকাতা হতে ঢাকায় এনে জাতীয় কবির মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করা হয় এবং তার চল্ চল্ চল্ সংগীতকে রণসংগীত হিসাবে গ্রহণ করা হয়।
তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের ন্যায় নজরুলের জীবনেও সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা, হতাশা-বিষাদ ছিল। কবি দ্বিতীয় পুত্র বুলবুলকে হারিয়ে বিদ্রোহী সত্তা হতে অধ্যাত্মবাদের দিকে ঝুঁকে পড়েন।
অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বলেন, কবি নজরুল দুই বাংলাকে আলাদা করে দেখতেন না। তিনি দুই বাংলাকে এক করতে চেয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, আজ থেকে ত্রিশালে জাতীয় কবির ১২০তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী জাতীয় পর্যায়ের কর্মসূচি। এবারের নজরুল জন্মবার্ষিকীর শ্লোগান নির্ধারণ করা হয়েছে ‘নজরুল চেতনায় বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’।
Advertisement
এমইউ/এমএমজেড/এমকেএইচ