নামের মধ্যেই রয়েছে 'প্রস্তুতি', যেখানে জয়-পরাজয়ের চেয়ে নিজেদের প্রস্তুতি কিংবা শেষবারের ঝালিয়ে নেয়াই মূল লক্ষ্য। তবে ইতিহাস বলে বিশ্বকাপের আগে এ প্রস্তুতি ম্যাচেই ১২ বছর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দেখা মিলেছিল অন্য এক বাংলাদেশের।
Advertisement
সেবার প্রস্তুতি ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের মতো দলকে হারিয়ে দিয়েছিল সেই সময়ের বাংলাদেশ। পরে এ জয়ের অনুপ্রেরণা কাজে লাগিয়ে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই প্রবল শক্তিশালী ভারতকেও মাটিতে নামিয়ে এনেছিল হাবিবুল বাশারের দল।
কাজেই প্রস্তুতি ম্যাচের গুরুত্ব ঠিক কতোটা তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এবারের বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে খেলার প্রাথমিক লক্ষ্য নিয়ে দেশ ছেড়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সে লক্ষ্যে প্রথম রাউন্ড তথা রবিন লিগের নয় ম্যাচে খেলতে হবে ধারাবাহিকভাবে। নয়ত পাওয়া যাবে না সেরা চারের টিকিট।
তবে মূল বিশ্বকাপের লড়াইয়ে নামার আগে মাশরাফি বাহিনীর সামনে থাকছে নিজেদের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি যাচাই করে নেয়ার সুযোগ। দুইটি প্রস্তুতি ম্যাচের মধ্যে প্রথম ম্যাচে আগামীকাল (রোববার) পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। পরে ২৮ মে আরেক প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ।
Advertisement
দুইটি ম্যাচের ভেন্যুই কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেনস। যেখানে রয়েছে টাইগারদের সাফল্যমণ্ডিত ইতিহাস। পয়মন্ত হিসেবে পরিচিত এ ভেন্যুতে ২০০৫ সালে অস্ট্রেলিয়াকে এবং ২০১৭ সালে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। কার্ডিফে খেলা কোনো ম্যাচই হারেনি টাইগাররা।
এছাড়াও প্রস্তুতি ম্যাচের দুই দল ভারত ও পাকিস্তান হেরে বসেছে নিজেদের প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে। তুলনামূলক দুর্বল আফগানিস্তানের কাছে হেরেছে পাকিস্তান। ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর বোলাররাও পারেননি যথাযথ সহায়তা করতে। একই পরিণতি হয়েছে ভারতের। নিউজিল্যান্ডের কাছে তারা পাত্তাই পায়নি নিজেদের ম্যাচে।
এমতাবস্থায় নিজেদের দুইটি প্রস্তুতি ম্যাচে বেশ ভালো সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের। আর বিশ্বকাপ শুরুর আগে ভারত ও পাকিস্তানের মতো হেভিওয়েট দলকে হারাতে পারলে নিশ্চিতভাবেই মাঠ গরম করে তুলবে টাইগাররা। আর গা গরমের এ দুই ম্যাচের জয় আত্মবিশ্বাসও বাড়িয়ে দেবে বাংলাদেশের। এখন দেখার বিষয় মাঠে কেমন করে মাশরাফি বাহিনী।
এআরবি/এসএএস/এমএস
Advertisement